সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের অভিযোগ রংপুরের কৃষক কুদ্দুস হত্যাকান্ডের আসামীরা ধরাছোয়ার বাইরে: দিশেহারা নিহতের পরিবার

 

রংপুর ব্যুরো: রংপুরের পীরগঞ্জের বাজিতপুরে কৃষক হওয়া আব্দুল কুদ্দুস কানড়া হত্যাকান্ডে জড়িতরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও একবছরেও তারা গ্রেফতার হয় নি। উল্টো তাদের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্বাহীনতায় ভুগছে তাদের পরিবার। আতংকিত কৃষক পরিবারের সদসস্যদের এখন দিশেহারা।

মঙ্গলবার রংপুর মহানগরীর গুপ্তপাড়ায় সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা জানান পরিবারের সদস্যররা। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হত্যাকান্ডের শিকার আব্দুল কুদ্দুস কানড়ার ছোটপুত্র সুজন মিয়া। উপস্থিত ছিলেন নিহতের স্ত্রী রাজেকা বেগম, অপর দুই পুত্র রাজু মিয়া ও মামুন মিয়া ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কুদ্দুস কানড়াকে বাসা থেকে ডেকে যাতায়াতের রাস্তা ও মাছ ধরা নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকরে প্রতিবেশী শাহিন, রফিকুল, রানা, স্বাধীন, লেলিন। এ বিষয়ে থানায় মামলা হলে পরবর্তীতে মামলাটির তদন্ত পায় সিআইডি। কিন্তু হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৯ মাস পরেও পর্যন্ত আসামীদের কাউকেই গ্রেফতার করেনি সিআইডি পুলিশ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আসামীরা মামলার পর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে নিহতের পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, নিহতের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আসামী পক্ষ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে গেলে হাইকোর্ট তাদেরকে চলিত মাসের ২০ জুনের মধ্যে রংপুরের চিফ জুডিশিয়্যাল মেজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরের নির্দেশ প্রদান করে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ উপেক্ষা করে আসামীরা প্রকাশ্যে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে। তারা নিহতের পরিবারকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তাদের হুমকিতে আতংক ও নিরাপত্বাহীনতায় ভুগছে পরিবারের সদস্যরা।

লিখিত বক্তব্যে নিহতের পুত্র সুজন আরও জানান,  মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ নিহতের পরিবারকে বিভিন্ন অযুহাতে আসামী গ্রেফতারে কালক্ষেপন করছে। আমাদের পরিবারের নিরাপত্বা এবং পিতা হত্যার অপরাধীেেদর গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিও জানান তিনি।

এ ব্যপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (সিআইডি) ফিরোজুল ইসলাম বলেন, আমি তো জানি আসামীরা বাড়িতে নেই। আর রংপুর চিফ জুডিশিয়্যাল মেজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির হওয়ার ব্যাপারে আমি অবগত নই। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.