শীতে গ্রামাঞ্চলে ঘরে ঘরে চলে সুস্বাদু পিঠা বানানোর প্রস্তুতি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি: বাংলাদেশের গ্রামীণ মানুষের ঘরে ঘরে হেমন্ত ও শীত ঋতুতে বিভিন্ন ধরনের পিঠার গুরুত্ব এবং ভূমিকা বহুকাল ধরেই বাঙালী লোক ঐতিহ্য ইতিহাসের সাক্ষী। গ্রামীণ মানুষদের কাছে পিঠা ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা, পিঠার এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা শহরের সবখানে এখন ছড়িয়ে পড়েছে।

গ্রামাঞ্চলের অসংখ্য মানুষ অন্য ঋতুর চেয়ে হেমন্ত ও শীতঋতু আসলেই যেন খুব বেশী পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। বহুকাল ধরে মানুষ পিঠা খাদ্যদ্রব্যে উৎসব পালন করে আসছে।

হেমন্ত আসতেই বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্ন। চলে পিঠা বানানোর প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে গ্রামেগঞ্জে তৈরিও হচ্ছে নানান স্বাদের পিঠা। শুধুই যে গ্রামে তা নয়, শহরের আনাচে কানাচে গড়ে ওঠেছে বিভিন্ন পিঠার দোকান আর উপচেপরা ভির।

এক সময় ঢেঁকিতে গীত গাইতে গাইতে চাল থেকে আটা তৈরী করতো গ্রামের মেয়েরা। ঢেঁকির শব্দ কানে না বাজলেও পিঠা খাওয়ার উৎসব কমে যায়নি বলা চলে।

 

 

গ্রামে গঞ্জে শীতের হরেক রকম পিঠা নিয়েই নিজ আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত করে পিঠা খাওয়ানো ও জামাই মেয়েদের বাড়িতে এনে নতুন কাপড় উপহার দেওয়ার যেন হাজার বছরের রীতি।

আত্মীয়-পরিজনের আগমন ঘটে। নানার বাড়িতে কিশোর কিশোরীরা শীতকালীন ছুটি নিয়ে বেড়াতে যাবে ।

গ্রাম থেকে আসা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রী লাবনী আক্তার পিঠা সম্পর্কে বিটিসি নিউজকে বলেন,আমাদের দেশে ১০০ বা তার বেশী পিঠার নাম থাকলেও ২৫-৩০ রকমের পিঠার প্রচলন হয়ে থাকে। যেমন- পাকান পিঠা, চাপড়ি পিঠা, চিতই পিঠা,নকশি পিঠা, ভাঁপা পিঠা খেজুরের পিঠা, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পুলি পিঠা, চিড়ার মোয়া পিঠা, নারকেল নাড়ু পিঠা এবং কাউনের মোয়া পিঠা,মালপোয়া পিঠা, ঝালপোয়া পিঠা,সেমাই পিঠা,নারকেল পিঠা, পুলি পিঠা, ইত্যাদি অঞ্চল ভেদে আরো অন্যান্য পিঠার নাম রয়েছে।#

সংবাদ প্ররেক বিটিসি নিউজ এর পঞ্চগড় প্রতিনিধি  শেখ সম্রাট হোসাইন ।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.