শীতকালীন অলিম্পিকের আগে চীনে ওমিক্রনের ধাক্কা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ঝুহাই নগরীতে অন্তত সাত জনের করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া দেশটির রাজধানী বেইজিংয়েও প্রথমবারের মতো এক ব্যক্তি অতিসংক্রামক এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিক শুরু হওয়ার তিন সপ্তাহেরও কম সময় আগে এমন দুঃসংবাদ পেল বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ অর্থনীতির দেশটি। মহামারির বিস্তার প্রতিরোধে ঝুহাইয়ে গতকাল শনিবার (১৫ জানুয়ারি) বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল স্থগিত ও বাসিন্দাদের নগরী ছেড়ে না যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।
ম্যাকাও সীমান্তবর্তী উপকূলীয় অঞ্চল ঝুহাই জানিয়েছে, পার্শ্ববর্তী একটি নগরীতে ওমিক্রন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এরপর গণপরীক্ষা শুরু করার পর শুক্রবার সেখানে হালকা অসুস্থ একজন ও উপসর্গহীন ছয়জন রোগীর দেহে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি ও গার্ডিয়ান এমন খবর দিয়েছে।
বেশ কয়েকজন ওমিক্রন আক্রান্ত হওয়ায় মহামারি প্রাদুর্ভাবরোধে চীনকে এক কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়েছে। এদিকে আগামী মাসে বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের আগে চীন ভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা জোরদার করেছে।
দেশজুড়ে লাখ লাখ লোককে বাড়িতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কারখানাগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
ঝুহাইয়ে অপ্রয়োজনে নগরী থেকে বের না হতে লোকজনকে আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে খুব প্রয়োজন হলে ২৪ ঘণ্টা আগে কোভিড পরীক্ষায় নেতিবাচক ফল পেলে কেউ নগরী ছাড়তে পারবেন।
সপ্তাহের শুরুতে প্রতিবেশী ঝোংশান নগরীতে করোনা শনাক্ত হওয়ার পরে শুক্রবার ২৪ লাখ জনসংখ্যার নগরীতে গণপরীক্ষা শুরু হয়েছে। চীন শনিবার ১০৪ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে।
আর বেইজিংয়ের কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে এক বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হলে গবেষণাগারে পরীক্ষায় তা ওমিক্রন বলে ধরা পড়েছে। পরে ৩১ অক্টোবর থেকে ওই ব্যক্তির কর্মতৎপরতা বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।
বেইজিংয়ের হেইডিয়ান জেলার কর্মকর্তারা বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি ও কর্মস্থল সিলড করে দেওয়া হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা দুই হাজার ৪৩০ জনেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
চীনের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন ধরন তাদের ‘শূন্য-কোভিড’ কৌশলের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চীনের মূলভূখণ্ডে প্রথম ওমিক্রন ধরা পড়ে গেল ৯ ডিসেম্বর উত্তর তিয়ানজিন শহরে। ওই ব্যক্তি বিদেশ থেকে এসেছিলেন, তার সংক্রমণ ছিল উপসর্গহীন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.