শিবগঞ্জে নদী যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা : প্রতিবাদে স্থানীয়দের অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পাগলা নদী যাতায়াতের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে অভিযোগ দিয়েছে। ৩ দিন ধরে নদীর পানি নিতে না পেরে স্থানীয়রা চরম ক্ষুদ্ধ এবং ফুঁসে উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ ৭০ বছরের এ রাস্তাটি গত সোমবার (২৫ জানুয়ারী) স্থানীয় কামাল উদ্দিনের স্ত্রী বেড়া দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে গ্রামটির ৫ শতাধিক মানুষ বিপাকে পড়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের কালুপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার ৫শতাধিক মানুষ পাগলা নদীর উপর নির্ভরশীল। গ্রামবাসী এ গ্রাম থেকে অবরুদ্ধ রাস্তাটি দিয়ে নদীর উভয়পাড়ে চাষাবাদে জড়িত এবং দরিদ্র জনগোষ্টী নদীর পানির উপর সরাসরি নির্ভরশীল। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ দরিদ্র হওয়ায় এরা খাবার পানি ছাড়া গোসল ও সকল কাজে নদীর পানির উপর নির্ভরশীল।
কিন্তু হঠাৎ করে রাস্তাটির সামান্য অংশ কামালউদ্দিনের জমিতে পড়ে যাওয়ায় রাতারাতি সে জায়গাটি ঘিরে দিয়ে রাস্তাটি স্থানীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। গ্রামের তাসির উদ্দিন জানান, তার বাড়ির সামনের অধিকাংশ পরিবারই প্রয়োজনীয় পানি না পেয়ে তার বাড়ি থেকে পানি নিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারছে।
স্থানীয়দের পানির অভাবে দৈনিন্দিন জীবন অতিবাহিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। গ্রামের সাথি আক্তার জানান, ৩ দিন ধরে পানির অভাবে গোসল করতে পারেননি তিনি।
অপর গ্রামবাসি সেমালী জানান, পানি ছাড়া কি এভাবে জীবনযাপন সম্ভব? তিনি আরও বলেন, এমনিতেই তাদের সংসার চলা দায় তার উপরে পানির সমস্যা। এখন হঠাৎ করে কিভাবে টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করব? এদিকে গ্রামের লিলি বেগম জানান, ৭০ বছর আগের রাস্তা এভাবে ঘিরে দিয়ে গ্রামের লোকজনকে বিপদে ফেলেছে। এর বিচার চাই এবং দ্রæত রাস্তা খুলে দেয়ার অনুরোধ জানায়।
গ্রামের শহিদুল ইসলাম ও ইউসুফ আলীর প্রশ্ন, উপজেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগ দেয়া হলেও কাজ হয়না। ঘটনাস্থল মাত্র ২ কিলোমিটার দুরে হলেও প্রশাসনের কেউ ঘটনাস্থল এখন পরিদর্শন করেননি।
এ ব্যাপারে উক্ত জমির অংশিদার ইমন বিশ্বাস দাবী করেন, প্রয়াত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলামের সময় ভূমি অফিসের সহায়তায় জমি চিন্তিত করে রাস্তার যে অংশটুকু তাদের জমিতে পড়েছে শুধু সেটুকুই তারা ঘিরে নিয়েছেন।
তার দাবী স্থানীয়দের ধারাবাহিক হুমকির প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে শিবগঞ্জ থানায় তারা একটি সাধারন ডায়রি করেছেন। তারপরও পাশের জমির মালিক ২ হাত জমি দিলে জনস্বার্থে তারাও ২ হাত করে জমি দিতে সম্মত আছেন।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী অফিসার সাকিব আল রাব্বি এ ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, যেহেতু ঘিরে নেয়া জমি এবং গ্রামটি দুর্লভপুর এবং শ্যামপুর এ ২ ইউনিয়নে। সেহেতু আগামী ২ দিনের মধ্যে ঐ ২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দ্বয়কে নিয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনিও বিষয়টি মনিটরিং করছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি মো: আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.