শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাতদ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বন্দর নগরী চট্টগ্রামের স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাতদ্রব্য বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সব তামাকের দোকান অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবার পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এতদ্বারা সব তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতা ও পৃষ্ঠপোষকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, চট্টগ্রাম মহানগরীর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে কোন প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালানো যাবে না। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (২০১৩ সালের সংশোধনীসহ) এর বিধানমতে এসব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতা ও পৃষ্ঠপোষকদের ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে সব তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়, বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া গেল। অন্যথায় উল্লেখিত তারিখের পর কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল/জরিমানাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে সবার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

৩১ আগস্ট ক্যাব আয়োজিত মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে সিটি মেয়র ঘোষণা দেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে সব ধরনের তামাকের দোকান অপসারণ করা হবে। পরবর্তীতে বিটার প্রকল্প সমন্বয়কারী প্রদীপ আচার্য ও ক্যাব সভাপতি নাজের হোসাইনের উপস্থিতিতে মেয়র এক গণবিজ্ঞপ্তির আদেশ প্রদান করেন।

তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী’ গড়তে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস, ক্যাব ও ইলমা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের ২৮ তারিখ থেকে অক্টোবরের ১ তারিখ এবং অক্টোবরের ৬ তারিখ থেকে অক্টোবরের ৯ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টস (বিটা) নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে তামাকজাত দ্রব্যের বিক্রয় চিত্রের ওপর একটি জরিপ চালায়।

এ জরিপের তথ্যমতে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে ১০০ গজের মধ্যে তামাক পণ্য বিক্রি হয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৮৮৫টি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে বিক্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৩৬টি। এ ছাড়া নগরীতে তামাকজাত বিক্রয়স্থল রয়েছে ১৬ হাজার ৫৯টি। এরমধ্যে রাস্তার পাশে বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে ৩ হাজার ৩৯৪টি, চা বিক্রয় কেন্দ্র ৪ হাজার ৩০৫, ক্ষুদ্র মুদি দোকান ৫ হাজার ৮৭৯টি, সুপার মার্কেট ৯২৪টি, তামাক দ্রব্য বিক্রয় কেন্দ্র ৬৬৭টি, রেস্টুরেন্টে ১৯৬টি, ভাসমান বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে ৬৯৪ টি।

গত ১৫ নভেম্বর সিটি কর্পোরেশনের কেবি আবদুচ সাত্তার মিলনায়তনে সিটি মেয়রের উপস্থিতি অবহিতকরণ সভায় এ জরিপের তথ্য উপস্থাপন করা হয়।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.