বৃষ্টিতে ভেসে গেল সুতাং নদীর উপর নির্মিত বিকল্প সড়ক !

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত সুতাং নদীর উপর ব্রীজটি দীর্ঘদিন যাবত ঝুকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শেষ ২-৩ বছর ধরে ব্রীজ দিয়ে কেবল মাত্র হালকা যানবাহন চলাচল করছে। সেজন্য নতুন করে ব্রীজটি ভেঙ্গে নির্মাণ করার জন্য কাজ  কিছুটা চলমান রয়েছে।

এদিকে ব্রীজটি ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করার উদ্দেশে সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য নদীর উপর দিয়ে বিকল্প একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। গতরাতের প্রবল বৃষ্টিতে বিকল্প সড়কটি নদীতে তলিয়ে গেছে। সুতাং এই ব্রীজটি দিয়ে হাজারো মানুষসহ স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে। বাজারের ভিতর দিয়ে শায়েস্তাগঞ্জের সাথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম সুতাং ব্রীজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় যে, সুতাং নদীর উপর দিয়ে সুতাং হয়ে বাছিরগঞ্জ বাজার তথা, শায়েস্তাগঞ্জে যাওয়ার জন্য হালকা বাঁশ দিয়ে কিছু মাটি ফেলে একটি রাস্তা করে দেয়া হয়েছিল সেটি বর্ষার আগেই তলিয়ে গেছে।এই রাস্তার উপর ভিত্তি করেই এদিকে সুতাং নদীর মুল ব্রীজটি ভাঙ্গার কাজ ও ক্রমশ এগিয়ে চলছে।

এ ব্যাপারে নুরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো, মুখলিছ মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি এলজিইডির অধীনে রয়েছে। তিনি মজবুত করে সড়কটি নির্মাণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহব্বান জানান।

এ বিষয়ে ব্রীজটির নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার আবুল বাশার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তিনি বিষয়টি জানেন না, খোঁজ নিয়ে দেখছেন।

রাস্তাটি পুনরায় নির্মাণ করা হবে কিনা জিঞ্জেস করা হলে তিনি বলেন,  এখনতো মানুষ পুরাতন ব্রীজকেই ব্যবহার করছে। বর্তমান অবস্থায় কোন কাজ করা যাচ্ছেনা, পরে আমরা চিন্তা করব। কিন্তু পুরাতন ব্রীজের ডানপাশের পিলারগুলো ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে এবং ব্রীজের মধ্যাংশে গর্ত করা হয়েছে সেজন্য মানুষ চলাচল করতে পারেনা।
তিনি বলেন, এ বিষয়টি আমি জানিনা, বিকল্প একটি মজবুত রাস্তা নির্মাণ না করে দীর্ঘ মেয়াদী এই ব্রীজের নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু করা হলে এলাকাবাসীকে পোহাতে হবে হাজারো দুর্ভোগ। তাই এলাকার সচেতনমহল একটি মজবুত রাস্তা পুনরায় করে সুতাং নদীর ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য উর্ধতনমহলের সুদৃষ্টি কামনা করছেন
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ জুনাইদ চৌধুরী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.