শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে

বিটিসি নিউজ ডেস্ক:  শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশের সব মসজিদ খুলে দেয়া হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০৭ মে)। আজকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র সময় সংবাদকে জানিয়েছে।

সূত্রটি জানায়, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (০৭ মে) জোহর থেকে দেশের মসজিদ গুলো খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মসজিদে জামায়াতের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত মানতে হবে।

সে শর্ত গুলো হলো: দুইজন মুসল্লির মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এছাড়া দুই কাতার পর এক কাতারের জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আজকের মধ্যে জারি করা হবে।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানানো হয়, পবিত্র রমজানে স্টাফ ছাড়া অর্থাৎ খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেমরা ছাড়া কেউ মসজিদে তারাবি নামাজ আদায় করতে পারবেন না। ঘরেই নামাজ আদায় করতে হবে।

তার আগে ৬ এপ্রিল করোনায় সংক্রমিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে ঘরেই সব নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এতে পাঁচটি দফা দেওয়া হয়।

এ গুলো হলো: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদের ক্ষেত্রে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম ব্যতীত অন্য সব মুসল্লিকে সরকারের পক্ষ থেকে নিজ নিজ বাসস্থানে নামাজ আদায় এবং জুমার জামাতে অংশগ্রহণের পরিবর্তে ঘরে জোহরের নামাজ আদায়। মসজিদে জামাত চালু রাখার প্রয়োজনে খতিব, ইমাম, মোয়াজ্জিন, খাদেম মিলে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে অনধিক পাঁচজন ও জুমার নামাজে অনধিক ১০ জন শরিক হতে পারবেন। জনস্বার্থে বাইরের মুসল্লি মসজিদের ভেতরে  জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও ধর্মীয় উপাসনালয়ের পরিবর্তে নিজ নিজ বাসস্থানে উপাসনা করতে হবে।

এতদিন ওই নির্দেশনাটিই বলবত ছিল। তারাবির জন্যও একই নির্দেশনা মানা হচ্ছিল।

তবে এবার মসজিদ উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে মুসল্লিদের জন্য। যদিও জামায়াতে মুসল্লিদের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং ২ কাতারের মাঝে ১ কাতারের জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.