লিবিয়ায় অস্ত্রবিরতি’র প্রতি সমর্থন শক্তিশালী খলিফা হাফতারের

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লিবিয়ায় আগামীকাল সোমবার (০৮ জুন) থেকে শুরু হওয়া অস্ত্রবিরতি’র প্রতি সমর্থন দিয়েছেন শক্তিশালী খলিফা হাফতার। লিবিয়ায় জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারের অনুগত বাহিনীর একের পর এক সামরিক বিজয় এবং কায়রোয় আলোচনা শেষে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি এক সংবাদ সম্মেলনে এ অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দেন।

এ সময়ে সিসির পাশে ছিলেন হাফতার ও তার মিত্র পূর্বাঞ্চলীয় পার্লামেন্টের স্পীকার আগুইলা সালেহ। তিনিই ‘কায়রো ঘোষণা’ উন্মোচন করেন।

সিসি বলেন, এ ঘোষণায় লিবিয়ার সকল অঞ্চল থেকে বিদেশী ভাড়াটে সৈন্য প্রত্যাহার, মিলিশিয়াগুলো ভেঙে দেয়া ও তাদের অস্ত্র হস্তান্তরের আহ্বান জানানো হয়েছে।

এদিকে সিসি’র ঘোষণার এ সময়ে লিবিয়ার গর্ভমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড(জিএনএ) এর অনুগত বাহিনী সার্তের দখল নিতে নতুন করে অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে। লিবিয়ার সাবেক শাসক মুয়ামার গাদ্দাফীর নিজ শহর এই সার্তে।

জিএনএ বাহিনীর মুখপাত্র মোহাম্মদ গুনুনু মিশরীয় প্রস্তাবে ঠান্ডা জল ঢেলে বলেছেন, যুদ্ধ শেষ করার সময় ও স্থান আমরাই বেছে নেবো।

সিসি কায়রো ঘোষণার প্রতি আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে লিবিয়ার পূর্ব ও পশ্চিমের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনগুলোর মধ্যে আলোচনার জন্যে জাতিসংঘের প্রতি আহব্বান জানিয়েছেন।

হাফতার মিশরের এ উদ্যোগের প্রতি সমর্থ জানিয়ে বলেছেন, একে সফল করতে তারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পাবেন বলে তিনি আশা করেন।

একইসঙ্গে তিনি বলেন, জিএনএ’র এর সমর্থনে তুরস্কের হস্তক্ষেপ লিবিয়ায় অভ্যন্তরীণ মেরুকরণ তৈরি করছে। তিনি অস্ত্র ও যোদ্ধা সরবরাহে আংকারার প্রচেষ্টা বন্ধের আহবান জানান।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়ায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি চলে আসছে। পূর্বাঞ্চল ভিত্তিক হাফতার বাহিনী গত বছর থেকে পশ্চিমের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে। মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রাশিয়ার সমর্থন পাচ্ছেন হাফতার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.