লিথুয়ানিয়ার ভেতর ‘স্বাধীন’ দেশ উজুপিস

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাল্টিক দেশ লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়ুসের মধ্যে এক বর্গকিলোমিটারেরও ছোট আয়তনের ‘স্বাধীন’ দেশ উজুপিস৷ সেখানে প্রায় সাত হাজার মানুষ বাস করেন৷দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে উজুপিসে ইহুদিরা বাস করতেন৷ যুদ্ধের পর সেখানকার ফাঁকা ভবনগুলো পতিতালয় হিসেবে ব্যবহৃত হত৷ ভাড়া কম হওয়ায় পরবর্তীতে সেখানে শিল্পীরা থাকা শুরু করেছিলেন৷
১৯৯৭ সালের এপ্রিল ফুলস ডেতে স্থানীয় ফটোগ্রাফার সাউলিয়ুস পক্সটিস ও উজুপিসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা রোমান লিলাইকিস উজুপিসের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন৷
তারা বলেছিলেন, তারা এমন একটি জায়গা চান যেখানে মানুষ সামাজিক রীতিনীতির পরোয়া না করে নিজেদের মতো থাকতে পারবেন৷ উজুপিসের নিজস্ব প্রেসিডেন্ট ছাড়াও একটি সংবিধান (যা ৫০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে), মুদ্রা ও চার মৌসুমের জন্য চারটি জাতীয় পতাকা আছে৷ শুরুতে লিথুয়ানিয়ার সরকার উজুপিসের স্বাধীনতা ঘোষণার প্রতি বিরূপ মনোভাব দেখালেও এখন মেনে নিয়েছে৷ বিদেশি কোনো সরকার উজুপিসকে স্বাধীন দেশ বলে স্বীকৃতি দেয়নি৷
একসময় ভাড়া কমের জন্য শিল্পীরা উজুপিসে গেলেও এখন ভিলনিয়ুসের দ্বিতীয় সবচেয়ে ব্যয়বহুল এলাকা হচ্ছে উজুপিস৷ কারণ সেখানে ডিজাইনার বুটিক শপ, ট্রেন্ডি ক্যাফে গড়ে উঠেছে৷ আরও আছে অদ্ভুত সব শিল্পকর্মে সমৃদ্ধ অলিগলি৷ এছাড়া বাল্টিক দেশগুলোর মধ্যে উজুপিসেই প্রথম আর্ট ইনকিউবেটর গড়ে তোলা হয়েছে৷ সারা বিশ্ব থেকে যাওয়া শিল্পীরা সেখানে পরীক্ষামূলক শিল্পকর্ম নিয়ে কাজ করেন৷
উজুপিসে ঘুরতে যাওয়ার সবচেয়ে ভালো সময় এপ্রিল ফুলস ডে, যেদিনস্বাধীনতাঘোষণা করা হয়েছিল৷ ঐ দিন সীমান্তে বিশেষ নিরাপত্তা প্রহরী থাকেন যারা দর্শনার্থীদের পাসপোর্টে সিল মেরে থাকেন৷ পানির ফোয়ারা থেকে বিয়ার পড়তে থাকে৷ এছাড়া ঐ সময় আর্ট ও সংগীতের বিভিন্ন ইভেন্টের আয়োজনও হয়ে থাকে৷ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.