নাটোর প্রতিনিধি: প্রায় ১০ বছর ধরে নাটোরের লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আল্ট্রাসোনোগ্রাফী মেশিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে উচ্চ মূল্যে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক বা ক্লিনিক থেকে আল্ট্রাসোনোগ্রাফী করতে হচ্ছে রোগীদের। এতে ঔষুধ,পরিক্ষা-নিরিক্ষাসহ চিকিৎসার ব্যয় বাড়ছে।
আর এই খরচ মেটাটে হিমশিম খাচ্ছেন রোগীরা।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে লোকবল সংকটে দীর্ঘ দিন ব্যবহার করা হয় নি আল্ট্রাসোনোগ্রাফী মেশিন। এতে সফটওয়্যার জনিত সমস্যায় দিনে দিনে অকেজো হয়ে পড়ে মেশিনটি। এরপর বিভিন্ন সময় ইঞ্জিনিয়ার ডেকেও আল্ট্রাসোনোগ্রাফী মেশিনটি সচল করা যায় নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ রোগী চিকিৎসা সেবা নেয়। সে হিসেবে বছরে অন্তত ১ লাখ ২০হাজার জন রোগী চিকিৎসা নেয়। এর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১০/১৫ জন রোগীকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু ১০ বছর ধরে আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন বিকল। এসব কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে পরীক্ষা করাতে পারেননি অনন্ত ৬০ হাজার রোগী।
অন্যদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আল্ট্রা করতে সরকারি ফি ২০০ টাকা। একই পরীক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করতে খরচ হয় ৫০০/৭০০ টাকা। গত ১০ বছরে ৬০ হাজারের বেশি রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসব পরীক্ষা করালে সরকার রাজস্ব পেত অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসব পরীক্ষা করাতে রোগীদের খরচ হয়েছে তার দুই-তিন গুন টাকা।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ সুরুজ্জামান শামীম বলেন, আল্ট্রাসোনোগ্রাফী মেশিন সফটওয়্যার জনিত সমস্যার কারণে অকেজো হয়ে আছে। এতে ভুল রিপোর্ট দেয়। টেকনিশিয়ান এনে দেখা হয়েছে তারা মেরামত করতে পারে নি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
নাটোর সিভিল সার্জন ডাঃ রোজি আরা বেগম বলেন, আল্ট্রাসোনোগ্রাফী মেশিন সচল করতে সংশ্রিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে আল্ট্রাসোনোগ্রাফী মেশিনে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই সমস্যা সমাধান হবে।জনবল সংকটের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আল্ট্রার জন্য আপতত কোন চিকিৎসক নেই। আমাদের চিকিৎসকদের মধ্যে যারা আল্ট্রা করতে পারে তাদেরকে দিয়েই আল্ট্রা করানো হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.