লালপুরে এক নারী জীবিত থেকে মৃত্যু সনদ দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধ ইউপি চেয়ারম্যান রঞ্জুর বিরুদ্ধে অভিযোগ

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে এক জীবিত নারীকে মৃত্যু সনদ দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান রঞ্জুর বিরুদ্ধে। টাকার বিনিময়ে অন্য একজনকে বয়স্ক ভাতা সুবিধা দেওয়ার জন্য ওই নারীকে মৃত্যুর সনদ উপজেলা সমাজ সেবা অফিসে দিয়েছেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জুর স্বাক্ষরিত মৃত্যুর সনদে একই ইউপির নূরুল­াপুর গ্রাামের ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দনি প্রামানিকের বিধাবা মেয়ে ছখিনা বেগম বার্ধক্য জনিত কারণে ৮ আগষ্ট ২০২২ ইং তারিখে মৃত্যু দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধর জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে মৃত্যুর সনদ জমা দিয়েছে। অথচ ওই বিধবা নারী সরকারের সামাজিক নিরাপত্তার কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতা সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। উপকার ভোগীর আইডি নম্বর ০১৬৯০০৪৫৪৪৭। চেয়ারম্যান মৃত্যুর সনদ দেওয়ার কারণে তার বয়স্ক ভাতা সুবিধা বন্ধ হয়ে গেছে। উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে সুবিধা বঞ্চিত ছখিনা বেগম বিটিসি নিউজকে বলেন,বয়স্ক ভাতার টাকা মোবাইলে না আসলে। আমার নাতি শিমুল সমাজ সেবা অফিসে খবর নিতে গেলে জানতে পাই যে আমি মরে গেছে। এই কারণে আমার বয়স্ক ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। এই খবর শুনে আমার চোখে পানি চলে আসে এবং আমি অবাক হয়ে যায়। পরে জানতে পারি চেয়ারম্যান রঞ্জু আমাকে মরা দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে। আমি চেয়ারম্যান রঞ্জুর বিচার চাই।
এবিষয়ে এলাকার সচেতন মহল বিটিসি নিউজকে জানান, চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জুর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ শুনেছি। সে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ন প্রকল্পের রঙিন সেমি পাকা ঘর ভ‚মিহীনদের না দিয়ে টাকার বিনিময়ে সচ্ছল পরিবারের সদস্যদের ঘর বরাদ্দ দিয়েছে। এখন শুনছি ছখিনা বেগম নামের এক বিধবা নারী জীবিত আছে। অথচ চেয়ারম্যান নিজে স্বাক্ষক করে ওই বিধবাকে মৃত্যুবরণ করেছে বলে সনদ লেখে বিধবা ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
এবিষয়ে ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ রঞ্জুর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে সে তার ফোন রিসিভ করেনি।
এবিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ মোত্তালেব সরকার বলেন, জন্ম ও মৃত্যুর সনদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রদান করেন।তিনি আরো বলেন,যেহেতু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এই কমিটির সভাপতি। সেহেতু বিষয়টির সিন্ধান্ত তিনি নিবেন।
এবিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, ঘটনাটি জেনে খুবই মর্মাহত হয়েছি।বিষয়টি খতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.