লালপুরে অনুমতি ছাড়াই সর: প্রাথ: বিদ্যালয়ের পূনরায় নির্মান কাজ শুরু! এলাকাবাসীর ক্ষোভ প্রকাশ

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরের সেকচিলান সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের নির্মান কাজ পূনরায় শুরু করেছে ঠিকাদার মো: সাইফুল ইসলাম। এর আগে নির্মান কাজে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগে এবং এলাকাবাসীর বাধায় নির্মান বন্ধ হয়ে যায়।
এই দূর্নীতির প্রতিকার চেয়ে গত ৯ জানুয়ারী গণস্বাক্ষরসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ দেয় এলাকাবাসী এবং ১০ জানুয়ারী এ বিষয়ে টিভি এবং জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে “ লালপুরে সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মানে ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ, এলাকাবাসীর বাধায় কাজ বন্ধ!” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি আমলে নেয় উপজেলা প্রশাসন।
বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই আবারও নির্মান কাজ শরু করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টি।
আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে পূর্বের নিম্ন মানের কাজের স্থলে জোড়া তালি দিয়ে কাজ করতে দেখে এলাবাসীর মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয় এবং এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা ।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাবাসীরা জানান- যাদের নেতেৃত্বে নিম্ন মানের কাজ বন্ধ করা হয়েছে, আজ তারাই অসাধু ঠিকাদার এবং উপজেলা প্রৌকশলী’র পক্ষে কেন? সাফাই গাইছে তা বোধগম্য নয়।
স্বরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, যে কাজের জন্য অভিযোগ করা হয়েছিল সেটা না ভেঙ্গেই জোড়া তালি দিয়ে তা ঢাকার কাজে ব্যস্ত আছে নির্মান শ্রমিকরা, তারা বলেন- উপরের অর্ডার আছে, সেখানে কথা বলুন।
পূনরায় কাজের অনুমিত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেকচিলান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দা উম্মে আরা (রুমা) এবং পরিচালনা কমিটির সভাপতি বাবর আলী মাষ্টার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান- উপজেলা প্রৌকশলী আমাদের একটি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। কিন্তু উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেই প্রতিবেদন অন্য হাতে দিতে নিষেধ করেছেন। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন দেখাতে বা দিতে পারবো না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রৌকশলী জুলফিকার আলী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশনায় পূনরায় কাজের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আপনারা উনার সাথে কথা বলেন।
পূনরায় নির্মান কাজের অনুমতি বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন- আমি কোন অনুমতি দেয়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পরে জানাবো।
উল্লেখ্য, এই ভবন নির্মানে কাজ করছে পাবনার বালিয়া হালোট এর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স প্রগতি এন্টারপ্রাইজ’। স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের আওতায় চারতলা ফাউন্ডেশন এর উপরে একতলা সম্পন্ন করা হবে ভবনটি। যার নির্মান ব্যয় বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে ৯২ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.