লকডাউন : ২০ এপ্রিলের পর কোন কোন সেক্টরে কাজ করবে, একনজরে

কলকাতা প্রতিনিধি: কেন্দ্রীয় সরকার একটা তালিকা করল যাতে দেওয়া হয়েছে কোন ধরনের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ করা যাবে ২০ এপ্রিলের পর। কৃষক এবং দিনমজুরদের কথা মাথায় রেখে বেশ কিছু ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে কাজের জন্য খুলে দেওয়ার অনুমতি দিয়ে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে নির্দেশ জারি করে জানানো হয়েছে ২০ এপ্রিলের পর কোন ধরনের কাজ করা হবে এবং কোন ধরনের কাজ করা হবে না। ‌ এক্ষেত্রে ২০ এপ্রিলের পর যেসব কাজ কর্মের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তার লক্ষ্য হলো যাতে কৃষি ও কৃষি জাতীয় কাজকর্ম পুরো দমে চলে, গ্রামীণ অর্থনীতি সর্বাধিক দক্ষতায় কাজ করে, দিন মজুর ও অন্যান্য শ্রমিকদের আয়ের সুযোগ ঘটে, নির্বাচিত শিল্প ক্ষেত্রে কাজ শুরু হবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা এবং বাধ্যতামূলক ভাবে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রটোকলস’ বজায় রেখে এবং ডিজিটাল ইকোনমির কাজের নিশ্চয়তার জন্য।

একনজরে যে সব কাজকর্ম ২০ এপ্রিলের পর করার অনুমতি দেওয়া হল তার তালিকা

(১) সব রকম পণ্য পরিবহনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তা সেটা অত্যাবশ্যকীয় হোক অথবা না হোক।

(২) কৃষি কার্যের মধ্যে রয়েছে কৃষিজাত পণ্য আহরণ, তা বাজারজাত করা মান্ডি এবং সরাসরি ও বিকেন্দ্রীকরণ বাজারের মাধ্যমে, সার উৎপাদন এবং বন্টন, কীটনাশক এবং বীজ, মৎস্য চাষ, পশুপালন পোল্ট্রি এবং চা কফি ও রাবার প্লান্টেশনের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

(৩) গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে কিছু শিল্পকর্ম গ্রামে চলবে যেমন খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, রাস্তা নির্মাণ, সেচ প্রকল্প, গ্রামে শিল্প প্রকল্পের নির্মাণকার্য, এম এন আর ই জি এ প্রকল্পের কাজ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে সেচ ও জল সংরক্ষণে , গ্রামের কমন সার্ভিস সেন্টারের কাজ ইত্যাদির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এর ফলে পরিযায়ী শ্রমিকসহ গ্রামীণ শ্রমিকরা কাজের সুযোগ পাবে।
(৪) উৎপাদন ক্ষেত্র এবং অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান যাদের অ্যাক্সেস কন্ট্রোল অনুমতি দেওয়া আছে এসইজেডএ, ইওইউ, শিল্পতলুক এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ। সামাজিক দূরত্ব এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রটোকলস বজায় রেখে তা করতে হবে। আইটি হার্ডওয়ার উৎপাদন এবং অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং প্যাকেজিং কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কয়লা খনি এবং তেল উৎপাদনের কাজে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এইসব পদক্ষেপের ফলে শিল্প ও উৎপাদন ক্ষেত্র ঘুরে দাঁড়াবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। তবে এক্ষেত্রে ও সামাজিক দূরত্ব এবং নিরাপত্তা প্রটোকল বজায় রাখতে হবে। একইসঙ্গে আর্থিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন আর বি আই, ব্যাংক, এটিএম,সেবির নির্দেশমতো মূলধন ও ঋণের বাজার এবং বিমা কোম্পানিগুলি কাজ করবে। যাতে পর্যাপ্ত নগদ এবং ঋণের সহায়তা দেওয়া যায় শিল্প ক্ষেত্রকে ।
(৫) ডিজিটাল অর্থনীতি পরিষেবা ক্ষেত্রের জন্য জাতীয় বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সেই অনুসারে ই-কমার্স অপারেশন, আইটি এবং আইটি এনাবল সার্ভিস, সরকারি কাজের জন্য ডেটা এবং কল সেন্টার এবং অনলাইন শিক্ষকতা ও দূরশিক্ষা সংক্রান্ত কাজকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
(৬) পরিবর্তিত এই গাইডলাইনে অনুমতি দেওয়া রয়েছে , সকল স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং সামাজিক ক্ষেত্রের কাজ চলবে, কোন বাধা ছাড়াই পাবলিক ইউটিলিটির কাজ হবে, কোন বাধা ছাড়াই অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহন হবে এবং কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ও স্থানীয় প্রশাসনের অফিস খোলা থাকবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.