রোযা কি এবং যে কাজগুলো রোযাকে বাতিল করে

রোযা হচ্ছে ইসলামের অন্যতম প্রধান বেনা বা খুটি, রোযা রাখা প্রত্যেক সক্ষম মুসলমানের উপর ফরয করা হয়েছে। মানুষ আল্লাহ্ রাব্বুল আ’লামিনের নির্দেশ মান্য করার উদ্দেশ্যে সুবহে সাদেক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যা কিছু রোযাকে বাতিল করে তা আঞ্জাম দেয়া থেকে নিজেকে দুরে রাখবে৷

রোযার প্রকারভেদ:
রোযা মোট ছয় প্রকার। যথা- ১. ফরয, ২. ওয়াজিব, ৩. সুন্নত, ৪. মুস্তাহাব, ৫. মাকরূহ, ৬. হারাম।

ফরয রোযা:
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এর এক মাস রোযা হচ্ছে ফরয রোযা।

ওয়াজিব রোযা:
মানত-এর রোযা।
নফল রোযার ক্বাযা, যা শুরু করার পর ফাসিদ (ভঙ্গ) হয়ে গিয়েছিলো।
বিভিন্ন কাফফারার রোযা।

সুন্নত রোযা:
পবিত্র আশূরা মিনাল মুহররম (দশই মুহররম) উপলক্ষে দুটি রোযা রাখা। অর্থাৎ ৯/১০ অথবা ১০/১১ তারিখে রোযা রাখা।
প্রতি মাসে তিনটি রোযা রাখা।
পহেলা রজব এর দিনে রোযা রাখা।
মি’রাজ শরীফ-এর দিনে রোযা রাখা।
শবে বরাত উপলক্ষে ১৫ই শা’বানে রোযা রাখা
শাওওয়াল মাসের ৬টি রোযা।
যিলহজ্জ মাসের ১-৯ তারিখ পর্যন্ত ৯টি রোযা।


মুস্তাহাব রোযা:
প্রতি আরবী মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখে রোযা রাখা।
প্রতি সপ্তাহের ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম তথা সোমবার শরীফ এবং বৃহস্পতিবার রোযা রাখা।
যে পাঁচ দিন রোযা রাখা নিষিদ্ধ সে পাঁচ দিন ব্যতীত অন্যান্য যে কোন দিন রোযা রাখা।

মাকরূহ রোযা:
ইয়ামুশ শক অর্থাৎ চাঁদের ত্রিশ তারিখ দিনে রোযা রাখা সাধারণভাবে মাকরূহ।
এছাড়া আশুরা উপলক্ষে ১ দিন রোযা রাখা

হারাম রোযা:
পবিত্র ঈদুল ফিতর-এর দিন।
পবিত্র ঈদুল আদ্বহার দিন।
এবং ঈদুল আদ্বহা-এর দিনের পরবর্তী তিন দিন (১১,১২,১৩ই যিলহজ্জ তারিখে) রোযা রাখা হারাম।

 


যে সকল কাজ রোযাকে বাতিল করে দেয়:
১- খাদ্যদ্রব্য ভক্ষণ করা, ২- পানিয় পান করা, ৩- সহবাস করা, ৪- হস্তমৈথূন করা, ৫- আল্লাহ, নবী (সাঃ) ও নবী (সাঃ)-এর স্থলাভিষিক্তের নামে মিথ্যা বলা, ৬- খাদ্য নালীতে ধুলা-বালি পৌছানো, ৭- পানির নিচে মাথা ডুবিয়ে দেয়া, ৮- জনাবাত, ঋতুস্রাব ও সন্তান জন্মের রক্ত অবস্থায় ফজরের আযান পর্যন্ত থাকা, ৯- পয়োনালীর মাধ্যমে কোন তরল পদার্থ শরীরে প্রবেশ করানো, ১০- বমি করা৷

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.