বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার রিয়াজান অঞ্চলের তেল শোধনাগারে ভয়াবহ ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনীয় বাহিনীর দাবি, এ হামলা মস্কোর ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার সক্ষমতা কমানোর পরিকল্পিত প্রচেষ্টার অংশ। জবাবে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রুশ হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন।
আসন্ন শীত সামনে রেখে ইউক্রেনের জ্বালানি খাতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। এবার সেই হামলারই যেন প্রতিশোধ নিল কিয়েভ। স্থানীয় সময় শনিবার, মস্কোর কাছে রাশিয়ার একটি তেল শোধনাগারে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইউক্রেন।
শনিবার সামাজিক মাধ্যমে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানায়, শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলার সক্ষমতা কমাতে রিয়াজান অঞ্চলের ওই তেল শোধনাগারে হামলা চালানো হয়েছে। হামলার পর তেল শোধনাগারটিতে আগুন লেগে যায়। যদিও রিয়াজানের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ২৫টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে এবং পড়ে যাওয়া টুকরো থেকেই আগুন লেগেছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চলে রুশ হামলায় কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। জাপোরিঝঝিয়ায়ও এদিন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওলেক্সি কুলেবা জানিয়েছেন, জুলাইয়ের পর দেশটির রেল ব্যবস্থায় রুশ হামলা তিনগুণ বেড়েছে। দেশের মোট পণ্য পরিবহনের ৬৩ শতাংশ এবং সামরিক সহায়তার বড় অংশই রেলপথে আসে। কুলেবা দাবি করেন, সরবরাহ ব্যবস্থা ভাঙার জন্যই যোগাযোগের এ পথকেই নিশানা করছে রাশিয়া।
রাশিয়ার অব্যাহত হামলার জেরে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে সমগ্র ইউক্রেন। এমন অবস্থায় ইউক্রেনকে আরও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিতে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এছাড়া, রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানিগুলোতে দশ কোটি ডলার আত্মসাতের অভিযোগে নতুন সংকটে ইউক্রেন। এরমধ্যেই দুই মন্ত্রীকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। #















