রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাত : স্বাধীনতা অনুষ্ঠান সহ পদক বিতরণ স্থগিত

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: দেশে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তায় স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বঙ্গভবনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া স্থগিত করা হয়েছে স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠান।

আজ শনিবার (২১ মার্চ) বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে। বিকাল ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে যান।

সাধারণত বিদেশ সফর থেকে ফেরার পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া নভেল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশেও কয়েকজনের আক্রান্ত ও মৃত্যুর পর উদ্ভুত পরিস্থিতি গুরুত্ব পায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের আলোচনায়।

গত ৮ মার্চ প্রথমবারের মতো শনাক্তের পর আজ শনিবার (২১ মার্চ) পর্যন্ত এই ভাইরাস সৃষ্ট (কভিড-১৯) এ আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ জনে পৌঁছেছে। আর এই রোগে মারা গেছেন ২ জন।

বঙ্গভবনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। দুইজনই দেশের জনগণকে এমন পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, আলোচনায় জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে এ বছর ২৬ মার্চ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বঙ্গভবনে অনুষ্ঠেয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া স্বাধীনতা পদক বিতরণ অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।

এর আগে আজ শনিবার ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী আগামীতে জনসমাগমের মতো অনুষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার কথা বলেছিলেন।

“বিশেষ করে ২৬ মার্চ আমাদের পুষ্পমাল্য অর্পণের কথা সাভার স্মৃতিসৌধে। আমি আলোচনা করব। সেটাও আমাদের স্থগিত করে রাখতে হবে।

“নিজের মতো করে, আমরা স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাব। কিন্তু এই লোক সমাগমটা আমাদের বন্ধ করে দিতে হবে, যাতে কোনোভাবে এই সংক্রামক ব্যাধি সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে।” #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.