রাবির সুউচ্চ শহীদ মিনার চত¦র

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) শহীদ মিনার দেশের অন্যান্য শহীদ মিনারের গড়নের থেকে আলাদা। এ শহীদ মিনারের নকশা করেন স্থপতি খায়রুল এনাম। ১৯৭২ সালের ৯ই মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ শহীদ মিনারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এ শহীদ মিনারের রয়েছে চারটি বাহু ,বাহু চারটি উপরের দিকে বান্ধনী দ্বারা আবদ্ধ।

এখানে চারটি বাহু দ্বারা ১৯৭২সালের সংবিধানের চারটি মূলনীতি-জাতীয়তাবাদ,গনতন্ত্র,সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি ইঙ্গিত বহন করে।এ শহীদ মিনারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হল মূরাল চিত্র,শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা ,উন্মুক্ত মঞ্চ ,সুবিস্তৃত খোলা প্রান্তর ও ফুলের বাগান।

শহীদ মিনারটি কৃত্রিমভাবে তৈরি মাটির ঢিলার উপর অবস্থিত। অনেকগুলো সিড়ি বেয়ে উঠতে হয় মিনারের ভিত্তি মূলে।মিনারের পশ্চাতে রয়েছে দীর্ঘ একটি মূরাল চিত্র।“অক্ষয়বট” শীর্ষক মূরালটি নানা বর্ণের পোড়া ইট,পাথর ইত্যাদি নানা অক্ষয়ের মাধ্যমে নির্মান করা হয়েছে। এ চিত্রটিতে রুপ দেওয়া হয়েছে এক স্নেহময়ী মা ও তার বীর সন্তানদের অবয়ব।

এখানে মায়ের অঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি প্রগাড় ভালবাসার বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মূরালটি নির্মান করেন শিল্পী মুর্তজা বশীর।

শহীদ মিনারের পাদদেশে পূর্বদিক থেকে যে দিক থেকে উদিত হয় নতুন দিনের সূর্য,সেদিকে রয়েছে একটি শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা। এ সংগ্রহশালার ডিজাইন করেন স্থপতি মাহবুবুল হক। সংগ্রহশালার কোল ঘেঁষে রয়েছে একটি উন্মুক্ত মঞ্চ ।

এর পিছনের দেওয়ালে রয়েছে গ্রামবাংলার আবহমান দৃশ্য যা রিলিফ ওয়ার্কে নানা রঙের মাধ্যমে রূপ দেওয় হয়েছে। এটি নির্মান করেন শিল্পী ফণীন্দ্রনাথ রায়। এ মঞ্চে মঞ্চস্থ হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যার মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের ধারা ।
সুউচ্চ এ শহীদ মিনার চত্বর বাঙালি মুক্তিসংগ্রাম ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনার সঞ্চার করে ।#

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রা.বি. প্রতিনিধি মোঃ মুজাহিদ হোসেন।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.