রাজশাহী মহানগরী জুড়ে আ. লীগের সম্মেলন ঘিরে সাজসাজ রব ও উৎসবমুখর পরিবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:  আগামী ১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী ও সম্মলন ঘিরে ইতিমধ্যে সেজে উঠছে নগরী। তবে পদ-পদবি পেতে যার যার অবস্থান থেকে গ্রুপিং-লবিং করছে নেতারা।

তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দাবি, দলকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে পদে যিনিই আসুক তিনি কর্মিবান্ধব ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হয়ে কাজ করবেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর সম্মেলন, তাই সাজ সাজ রব ও উৎসবমুখর পরিবেশ নগরজুড়ে। বছরজুড়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর উদযাপন শুরু ও সম্মেলন একই মাসে হওয়ায় সাজসজ্জার মাত্রা যেমন বেড়েছে, নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাসও বেড়েছে কয়েকগুণ। নগরীজুড়েই রঙিন ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।

মুজিববর্ষের উদযাপন একই বছরে হওয়ায় সিটি করপোরেশন থেকে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর দুর্লভ আলোকচিত্রে পুরো নগরীজুড়ে ছেয়ে ফেলা হয়েছে।

মনিরা ফেরদৌস নামের তৃণমূলের এক নেতা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, মুজিববর্ষ ও সম্মেলন একই মাসে হওয়ায় পুরো নগরীতেই সাজসজ্জায় ভিন্নতর মাত্রা পেয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। সবাই প্রতিদিন প্রচার ও প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।

নয়নতারা নামের তৃণমূলের আরেক কর্মী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, সম্মেলন উপক্ষে আমরা প্রতিদিন প্রচার ও প্রচারণা চালাচ্ছি। কর্মীদের মধ্যে ঈদের খুশির মতোই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

তবে সব উচ্ছ্বাস ছাপিয়ে প্রধান আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে এবারের সম্মেলনে কারা পাচ্ছেন শীর্ষ পদ দুটি। বেশী আলোচনার জন্ম দিয়েছে সাধারণ সম্পাদকের পদটি। এই পদপ্রত্যাশী ডজনখানেক হওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে নেতাকর্মীদের ব্যক্তি পর্যায়ে জন্ম দিচ্ছে নানা জল্পনা কল্পনা ও আলোচনার। চলছে ব্যক্তিগত পর্যায়ে লবিং-গ্রপিং ও তদ্বির।

সাধারণ সম্পাদকের পদটি নিয়ে যখন এত জল্পনা-কল্পনা তখন অবশ্য সভাপতি পদপ্রত্যাশী বর্তমান কমিটির সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন অনেকটাই নির্ভার। সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিকল্প দেখছে না নেতাকর্মীরা। ফলে এ পদ নিয়ে ভাবছেন না কেউ। তবে কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় দলীয় প্রধানের দিকনির্দেশনা মেনেই কাজ করতে চান তিনি।

তবে এবারের সম্মেলনে শীর্ষ পদ দুটিতে ত্যাগী, কর্মীবান্ধব ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশের অনুসারীদের দেখতে চান তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

নগরীর রাজপাড়া থানার নেতা শাহ আলম বাদশা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমরা এমন নেতৃত্ব চাই, যারা হবে কর্মিবান্ধব, যাদেরকে সবসময় কাছে পাওয়া যাবে। চাইলেই যাদের কাছে যাওয়া সম্ভব হবে। যারা প্রগতিশীল হবে, সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে যাদের কোনো আঁতাত থাকবে না। তারা হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক।

বোয়ালিয়া থানার সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার ঘোষ বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমরা রাজশাহী মহানগরী আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অবহেলিত। আমরা চাই এবারের সম্মেলনে যারাই নেতা হবেন তারা হবেন কর্মিবান্ধব। তারা সবসময় কর্মীকে পাশে রাখবেন।

আগামী ১ মার্চ রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগরীর এ সম্মেলন। এর আগের সম্মেলন ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.