বিশেষ প্রতিনিধি:রাজশাহী অঞ্চলের গাছিরা শীত মৌসুমের শুরুতেই খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত পার করছেন। হাট-বাজারে গুড়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন তারা। বাজার থেকে সুস্বাদু পাটালি ও লালি গুড় চলে যায় রাজধানী ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
শিত মৌসুমে আবহমান গ্রাম বাংলায় শীতের সকালে সূর্য মিটমিট করে আলো ছড়ানোর আগেই খেজুরের রস আহরণে বেরিয়ে পড়েন গাছিরা। হাঁড়িতে সংগৃহীত রস নিয়ে ছোটেন চুলার কাছে। টিনের বড় পাত্রে রস ঢেলে জ্বাল দিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। আস্তে আস্তে রস শুকিয়ে রুপ নেয় লাল গুড়ে। রাজশাহীর খেজুর এলাকা বলে পরিচিত পুঠিয়া চারঘাট-বাঘা ও দুর্গাপুর উপজেলায় এখন গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছিরা।
এই সকল গুড়ের রং আকর্ষণীয় ও সুস্বাদু করতে হাইড্রোজ, ফিটকিরি এমনকি চিনি ব্যবহার করছে অনেক গাছি। প্রতিকেজি গুড় বাজারে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিনিয়ত স্থানীয় হাট-বাজারে তোলার পর সুস্বাদু এই গুড় চলে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকা’সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, জেলায় খেজুর গাছের সংখ্যা প্রায় ৮ লাখ। এসব গাছ থেকে শীত মৌসুমে প্রায় ৬০ কোটি টাকার ৮ হাজার মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন হয়। তিনি আরও জানান, শীতে এই মৌসুম হওয়ায় বর্তমানে করোনা প্রতিরোধে গাছিদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহবান জানিয়েছেন।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.