রাজশাহীর বাজারে নেমেছে গোপালভোগ, আকারে অনেকটা ছোট


নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাজারে জেলা প্রশাসন ঘোষিত ‘আম ক্যালেন্ডার’ মেনেই নেমেছে গোপালভোগ। আটি আমের ক্ষেত্রে জেলার আম সংগ্রহ, পরিবহন, বিপণন ও বাজারজাত মনিটরিং-সংক্রান্ত সভায় ঘোষিত ‘আম ক্যালেন্ডার’ মানা না হলেও গোপালভোগের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি।
রাজশাহীতে আমের সবচেয়ে বড়হাট পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরে গত সোমবার (১৫ মে) গোপালভোগ আম দেখা যায়। তবে পরের দিন মঙ্গলবারই বানেশ্বরে গোপালভোগ আম তেমন ওঠেনি। দামও ছিল আগের দিনের তুলনায় অনেক কম। এনিয়ে আমচাষি ও বাগান মালিকরা হতাশ বলে আলাপে জানা যায়।
বানেশ্বর হাটের রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের ওপরই অনেক খুচরা ব্যবসায়ী আম নিয়ে বসে ছিলেন। তারা খুচরা আম বিক্রি করেন। টানা রোদ সত্তে¡ও আম নিয়ে বসেছেন তারা। পুঠিয়ার চিতলপুকুরের খুচরা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো আম নিয়ে বিক্রি করছিলেন। তার আমও আকারে অনেকটা ছোট। তবে আমে রং ধরেছে। তিনি আম কেটে ডালির ওপর রেখেও দিয়েছেন। একই গ্রামের ব্যবসায়ী রনিও দ্বিতীয় দিনের মতো গোপালভোগ আম খুচরা বিক্রি করতে বসেছেন। তারা আমের দাম হাঁকছেন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি। খুচরা বিক্রেতারা আমের দাম বেশি নিলেও যারা অল্প আম কিনেন তাদের ওই দামেই কিনতে হয়। কারণ আড়তদারেরা খুচরা আম বিক্রি করেন না। তারা বাইরের ব্যাপারীদের কেনা আম প্যাকেট করে পাঠানোর উপযোগী করে দেন।
মঙ্গলবার বানেশ্বর হাটে আমচাষি আলতাফ হোসেন ও জাহাঙ্গীর ভটভটিতে গোপালভোগ আম নিয়ে আসেন। বিকাল ৩টার দিকে কাঠফাটা রোদের মধ্যেও তারা আম নিয়ে বাজারে বসেছিলেন। আলাপে তিনি জানান, আগের দিন সোমবার ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ (৪০ কেজি) দামে আম বিক্রি হলেও মঙ্গলবার বাইরের ব্যাপারীরা আমের দাম বলছেন প্রতি মণ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা।
আমের দাম কম বলার কারণ হিসেবে ঢাকার ব্যাপারী আমজাদ হোসেন জানান, আম সাইজে অনেক ছোট। এই আম ঢাকায় নিয়ে বিক্রি করে লাভ হবে না। তবে আমচাষি জাহাঙ্গীর বলেন, বড় গাছের আম সাইজে একটু ছোট-ই হয়। তবে খেতে সুমিষ্ট হয়। এছাড়া এবার বৃষ্টিপাত কম এবং তাপ ও রোদের কারণেও আমের সাইজ ছোট হয়েছে।
রাজশাহী জেলায় ঘোষিত ‘আম ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী, গুটি আম ৪ মে, গোপালভোগ ১৫ মে, ল²ণভোগ বা লখনা ও রানীপসন্দ ২০ মে এবং হিমসাগর বা ক্ষীরসাপাত ২৫ মে থেকে বাজারজাত করা যাবে বলে জানানো হয়। বাকি অন্যান্য জাতের আম পর্যায়ক্রমে বাজারে আসবে। সেই হিসাব অননুায়ী সোমবার দুপুরে বানেশ্বর বাজারে গুটি আমের সঙ্গে গোপালভোগ আম দেখা যায়।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোজদার হোসেন বিটিসি নিউজকে জানান, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে গোপালভোগ আম চাষ হয়। এবার ১৫ মে থেকে এই আম পাড়ার তারিখে ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে কয়েক দিন আগেই আম পাকা শুরু হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো.মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.