রাজশাহীর বাঘায় আমবাগান থেকে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

বিশেষ প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘায় একটি আমবাগান থেকে জহুরুল ইসলাম নামে এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (০৬ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার তেঁথুরিয়া শিকদার পাড়া এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। জহুরুলের বাড়ি উপজেলার মনিগ্রাম মধ্যপাড়া গ্রামে। তার পিতার নাম রফিকুল ইসলাম।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জহুরুল একই উপজেলার পানিকমড়া এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম মনির অধীনে প্রায় দেড় বছর ধরে বিভিন্ন ব্যান্ডের মোবাইল বিক্রয়ের চাকরি করে আসছিলেন। চাকরির সুবাদে তিনি প্রতিদিন সকালে বাড়ী থেকে মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয় এবং সন্ধ্যার পর প্রতিষ্ঠানে এসে মালিক মরিরুলকে হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ী ফিরেন। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর তিনি আর প্রতিষ্ঠানে ফিরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
ঘটনার এক পর্যায় মনিরুল গতকাল মঙ্গলবার (০৫ জানুয়ারী) রাতে জহুরুলের বাড়ী এসে জানতে পারেন তিনি বাড়ীতে আসেনি। পরে রাতে বাঘা থানা পুলিশকে ঘটনটি জানানো হয়।
আজ বুধবার (০৬ জানুয়ারী) সকালে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের তেঁথুরিয়া শিকদার পাড়া এলাকার একটি ফাঁকা রাস্তার পাশে জনৈক সাবাজ উদ্দিনের আমবাগানে জহুরুলের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। একই সাথে রাস্তার উপরে পাওয়া যায় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং অদূরে পাওয়া যায় হেলমেটসহ একটি হাসুয়া।
স্থানীয় লোকজন জানান, সকালে খেজুরের রস পাড়তে আসা লোকজন রাস্তায় মোটরসাইকেল দেখে সন্দেহ হয়। এরপর বাগানের মধ্যে যুবকের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়।
মৃত জহুরুল ইসলামের বড়ভাই রুহুল আমিন জানান, আগের দিন সোমবার সন্ধ্যার পূর্বে আমার ছোট ভাই আড়ানী বাজারে খলিফা ইলেকট্রনিক্স নামের একটি দোকানে মালামাল দেয়। এটায় তার সাথে আমার শেষ কথা। কিন্তু জহুরুল প্রধান রাস্তা বাদ দিয়ে মাঠের মধ্যে কি করে এলো সেটা আমার বোধগম্য নয়!
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তদন্ত না করে এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে লাশের পাশে দামি মোবাইল এবং মোটর সাইকেল ফেলে যাওয়া থেকে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বিশেষ প্রতিনিধি রুহুল আমীন খন্দকার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.