রাজশাহীর তেরখাদিয়ায় রেশন কার্ডের নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজশাহী নগরীর তেরখাদিয়া এলাকায় রেশন কার্ডের নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। প্রতি মাসে খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার নাম করে সদস্য ভর্তি ফি’র নামে গরীব অসহায় মানুষের কাছ থেকে নিচ্ছে এসব টাকা। ১ হাজার থেকে ১২’শ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে তারা। অনুসন্ধানে জানা গেছে তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকার লোকমান হোসেনের জামাই মনিরুল ইসলামে নেতৃত্বে এ চক্রের সাথে আছে অত্র এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে নারগীস ও একই এলাকার জান্নাতুল ফেরদৌসী। এর সাথে আরো কয়েকজন জড়িত আছে বলে জানা গেছে। এই চক্রটি দাতা সংস্থা এডিডি প্রজেক্ট এর আউতায় জনগনকে রেশন কার্ড দিবে বলে ১ হাজার থেকে ১২’শ টাকার বিনিময়ে সদস্য সংগ্রহ করছে বলে জানা গেছে। সদস্যদের চাল, তেল, আটা, চিনি এবং ডাল প্রতিমাসে দেওয়ার নাম করে আদায় করছে এসব টাকা। টাকার বিনিময়ে কোন রসিদ বা কোন ডকোমেন্ট দিচ্ছেনা অভিযুক্ত মনিরুল সহ এই চক্রটি।

তেরখাদিয়া এলাকার ময়না বেগম, পারুল, পদভানু,জরিনা, রবিউল ইসলাম সহ এ এলাকার শতাধিক ব্যাক্তির কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে এসব টাকা। প্রতিনিয়ত তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদের উৎশাহিত করতে যাদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে তাদেরকে প্রথমবার চাল,আটা, তেল সহ ৬ থেকে ৭ শ’ টাকার কিছু পন্য দিয়েছে এর সাথে জড়িত ব্যাক্তিরা। সরকারী কোন দফতর বা কোন দাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া এসব কাজ করছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। পরিচয় দানকারী সংস্থা এডিডি প্রজেক্ট বা সরকারী কোন দফতরের অনুমতি নাই তাদের। যে দাতা সংস্থার মাধ্যমে এ কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে তারা দাবি করছে সে সংস্থার পক্ষ্যে কাগজপত্র দেখতে চাইলে আমাদের প্রতিবেদককে কোনপ্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি এ চক্রের অন্যতম মনিরুল ইসলাম। তিনি কৌশলে সময় ক্ষেপণ করতে চেয়েছেন।

তাদের এসব প্রতারণামূলক কাজের জন্য এলাকার মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা গেছে। তাদের রেশনের জন্য টাকা দিয়েছেন এমন অনেকের সাথে কথা বলে জানা গেছে তেরখাদিয়া এলাকার মোয়াজ্জেম হোসেনের মেয়ে প্রতিবন্ধী নারগীস বেগমকে সাথে নিয়ে একই এলাকার লোকমান হোসেনের জামাই মনিরুল ইসলাম এসব কর্মকান্ডের মূল হোতা। টাকা দিয়েছেন তাদের মধ্যে পারুল নামের একজন বলেন, যতদিন বেচেঁ থাকবো ততোদিন প্রতিমাসে একবার তাদের খাদ্য পন্য দেওয়া হবে বলে ১ হাজার টাকা করে সদস্য ফি নেওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে। রবিউল ইসলামের স্ত্রী বলেন, যেসব পন্য দেওয়া হয়েছে তা খুবই নিন্মমানের। তেল, চিনি ,আটা সব কিছুই খোলা প্যাকেটের পন্য। যার সর্বোচ্চ দাম ৬’শ থেকে ৭’শ টাকার বেশি হবে না ।

তিনি আরো বলেন, প্রথম মাস দেওয়ার পর দ্বিতীয় মাস পার হলেও আর পাননি কোন পন্য। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হেসেন আনার বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা তবে কেউ এমন কাজ করে থাকলে অবশ্যই তার কঠোর শাস্তি হওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এমন খবর আমাদের কাছে নেই তবে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি  লিয়াকত হোসেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.