রাজশাহীর চারঘাটে বজ্রপাতে নিহত চার জন, এলাকায় শোকের মাতন

নিজস্ব প্রতিবেদকসারা দেশে বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।প্রায় প্রতিটি জেলার কোথাও না কোথাও বজ্রপাতে নিহত হচ্ছে। রাজশাহী জেলার চারঘাটে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার (৭ জুন) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার চক-কাপাসিয়ার খলিল হাজীর বাগানে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারা ওই বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে ছিলো।
নিহতরা হলেন- আজম আলীর স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫), মাহাবুবের ছেলে সোহান আলী (৯), কাবিল উদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫৫) ও জনির ছেলে পরশ আলী (১০)। এছাড়াও আহত হয়েছেন- উকিল হোসেনের ছেলে ভুট্টু (১৮) ও অপর একজন।
ওই আমবাগানের পাশের বাসিন্দা মানুয়ারা বেগম নামের এক নারী জানান, সেই সময় বৃষ্টি হচ্ছিল। তাই তারা একসাথে আম গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলো। হঠাৎ করে মেঘ গর্জন দেয়। আর আগুন আম গাছের উপরে পড়ে। তখন আমার (মানুয়ারা) মনে হলো- ছেলে-মেয়েরা তো আম কুড়াচ্ছিল। দ্রুত বাইরে এসে দেখি আলেয়া মাটিয়ে শুয়ে ছিলো। আর বাকিরা ব্যাগ হাতে বসেছিলো গাছের নিচে। কাছে গিয়ে দেখি তারা চোখ ফুটিয়ে আছে। তখন পাশের বাড়ির অন্য মানুষদের ডেকে ভ্যানে তুলতে তুলতে মুক্তা ও আলেয়ার মৃত্যু হয়। পরে পরশ ও সোহানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নিহত সোহানের চাচি মর্জিনা বেগম জানান, রাস্তাতেই সোহানের মৃত্যু হয়। নিস্তেজ হয়ে গিয়ে ছিলো। তারপরেও পরশ ও সোহানকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ও আহতদের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় আহাজারিতে ভারি হয়ে গেছে চক-কাপাসিয়ার এই ছোট এলাকাটি। দুর্ঘটনার খবরে ছুটে আসছেন দূর-দূরান্তের মানুষ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আলম রতন গণমাধ্যমকে জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঝড়ো হাওয়া শুরু হলে আম কুড়াতে গিয়ে ঘটনাস্থলে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু ঘটে। আর দুইজন আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
কাটাখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম ছিদ্দিকী বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, দুজনের মরদেহ বাড়িতে আছে। আর দুজনের হাসপাতালে। এবিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো: মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.