রাজশাহীতে মতিহার থানার অভিযানে ৩ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

আরএমপি প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজের সামনে থেকে এক কলেজ ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় ৩ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশ। এসময় একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন, মো: জহুরুল হোসেন রেন্টু (৩৫), মো: ইসমাইল হোসেন (৩০) ও মো: রাসেল (৩২)। জহুরুল রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডী কড়ইতলার মৃত খয়রাত আলীর ছেলে, ইসমাইল হোসেন রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার মাছপাড়ার মো: সারোয়ার হোসেনে ছেলে ও মো: রাসেল রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুরের মো: রফিকুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার পুনট পূর্বপাড়ার আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে তামিম বঙ্গবন্ধু কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। গতকাল ২১ মে ২০২৪ বিকেল পৌনে ৩ টায় তামিম তার বান্ধবীকে সঙ্গে তালাইমারী থেকে অটোরিকশায় সাহেব বাজার যাচ্ছিেলন । পথিমধ্যে মতিহার থানার তালাইমারী এলাকা হতে আসামি জহুরুলসহ আরও দুইজন ইসমাইল হোসেনের অটোরিকশা নিয়ে তাদের রিকশার পিছু নেয়। বিকেল ৩ টায় বোয়ালিয়া থানার শাহমখদুম কলেজের সামনে পৌঁছালে তারা তামিমকে জোর করে রিকশা থেকে নামিয়ে অপহরণ করে রানীনগর এলাকার গলি রাস্তা দিয়ে তালাইমারী তিন রাস্তার মোড়ে নিয়ে যায়। সেখানে অপহরণকারীরা তামিমের বাবার নিকট মোবাইল ফোনে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ইতোমধ্যে তার বান্ধবী পুলিশের জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে।
সংবাদ পেয়ে আরএমপি’র মতিহার বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজের দিকনির্দেশনায় মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম পুলিশ দ্রুত সংবাদদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করে অপহরণকারীদের ধাওয়া করে।পরে মতিহার থানার রুয়েট ফ্লাইওভারের কাছ থেকে আসামি জহুরুল ইসলাম রেন্টু ও রিকশা চালক ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে এবং তামিমকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তারের সময় দুই অপহরণকারী দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় অপহরণকারীদের অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামি জহুরুল ইসলাম রেন্টুর বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি ,সরকারি কর্মচারী হিসেবে প্রতারণা করার অপরাধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৮টি মামলা রয়েছে এবং এছাড়াও পলাতক অপর দুই অপহরণকারীর বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা রুজু করা করা হয় এবং পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রাখে । গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি রাসেলকে ঐ দিন রাত ১১ টায় তার বাড়ির সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামি রাসেলের বিরুদ্ধে নগরীর চন্দ্রিমা ও বোয়ালিয়া থানায় ২টি মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক মো: জামিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.