রাজশাহীতে প্রতি কেজি আলুতে ১৫ টাকা লাভ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে নতুন আলু উঠাতে শুরু করেছে কৃষকরা। ভালো দাম পাওয়ায় এবার মাঠেই আলু বিক্রি করছেন কৃষকরা। কৃষকরা জানান, এবার মাঠেই আলু বিক্রি করে প্রতি কেজিতে ১৪ ১৫ টাকা লাভবান হচ্ছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন, এবার রাজশাহীর উৎপাদিত আলু দিয়ে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলার চাহিদাও মেটানো সম্ভব হবে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলিত বছর নগরীসহ ৯টি উপজেলায় ৩৪ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে আলু। এরমধ্যে তানোরে ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর, দুর্গাপুরে এক হাজার ৬০৮ হেক্টর, মোহনপুরে তিন হাজার ৮২৫ হেক্টর, পুঠিয়ায় ৮৩০ হেক্টর, গোদাগাড়ীতে এক হাজার ৯৮৫ হেক্টর, পবায় তিন হাজার ৬৩৫ হেক্টর, বাগমারায় ৯ হাজার ৩২০ হেক্টর, চারঘাটে ৩১০ হেক্টর, বাঘায় ২৬৫ হেক্টর, মহানগরীর মতিহারে ১৬ হেক্টর এবং বোয়ালিয়ায় ৪৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। জেলায় এবার আলু উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ লাখ মেট্রিক টন।
গত কয়েক বছর ধরেই আলু চাষে লাভবান হচ্ছেন জেলার কৃষকরা। রাজশাহীর দুর্গাপুরে এবার মাঠেই আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। এতে কৃষকের খরচ বাদে প্রতিকেজিতে লাভ থাকছে ১৪-১৫ টাকা। তাই মাঠে আলু বিক্রির হিড়িক পড়েছে। গত মৌসুমে এই আলু বিক্রি হয়েছে ১১ থেকে সাড়ে ১১ টাকা কেজি দরে। আর উৎপাদন খরচ হয়েছিল প্রায় ৯ টাকার মতো।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার আলুচাষি হাবিব মিয়া। হতাশ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিকেজি আলুতে এক টাকা করে ঠকেছেন তিনি। সব জায়গায় ৩০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হলেও তাড়াহুড়া করতে ২৯ কেজি দরে তিন একর জমির পুরো আলু মাঠেই বিক্রি করে দিয়েছেন।
এদিকে বিভিন্ন স্টোরেজ প্রায় পাঁচ হাজার বস্তা আলুর বুকিং দেওয়া আছে। তাই বাধ্য হয়ে চড়া দাম আলু কিনতে হচ্ছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন বিটিসি নিউজকে বলেন, জেলায় এবার আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ লাখ মেট্রিক টন। এরইমধ্যে চাষিরা জমিতে আলু তুলতে শুরু করেছেন। দামও ভালো পাচ্ছেন। তবে পুরোদমে আলু ওঠানো শুরু হলে কয়েকদিনের মধ্যে দাম কমে যাবে বলেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.