রাজশাহীতে পূর্বের তুলনায় মানুষ বের হচ্ছে বেশী, মানছে না নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা লক ডাউনে হাঁপিয়ে উঠেছেন মানুষ। তাই রাস্তা পথে মানুষের চলাচল বৃদ্ধি পাচ্ছে।অনেকে আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছেন।

রাজশাহী মহানগরীর পদ্মাপাড় এলাকায়  একঘেয়েমি কাটাতে নির্মল বাতাস খেতে জড়ো হন কিছু মানুষ।প্রশাসনের তরফ থেকে বুঝিয়ে অনেক মানুষকে ঘরে ফিরতে বাধ্য করা হচ্ছে। তবুও মানুষ ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন রাস্তায়।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা অনুমান ৭.৩০ ঘটিকায় নগরীর কেশবপুর নদীর ধারে মানুষের জটলা ভাঙতে সেনাবাহিনীকে বাধ্য হলে লাঠি চার্জ করতে দেখা যায়। রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রাস্তায় রাস্তায় মানুষের চলাচল। অনেকেই বিনা কারনে বের হয়েছেন রাস্তায়। রাস্তার অলিগলিতে মানুষ চলাচল অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার গলিতে ক্রিকেট খেলার দৃশ্য চোখে পড়েছে।

করোনা সংক্রমণরোধে দেশজুড়ে অঘোষিত লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে সারাদেশের মত রাজশাহীতেও সতর্কতা অবলম্বন করেছে প্রশাসন। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হতে বলা হচ্ছে। মাঠে রয়েছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন।

কিন্তু এত কিছুর পরেও নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন মানুষ। জনগনের স্বার্থে কাঁচাবাজার, ওষধের দোকান ও প্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা রয়েছে। কিন্তু কাঁচাবাজারে নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হচ্ছেনা। ফলে শত শত মানুষ প্রতিদিন কাঁচাবাজারে যত্রতত্রভাবে বাজার করছেন। এতে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।

এ নিয়ে মানুষ উদাসীন। গতকাল নগরীর কাঁচাবাজার পরিদর্শনকালে এক বিক্রেতা বলেন, যারা করোনা নিয়ে বেশি ভয় করবে, তাদেরকেই করোনা আক্রমণ করবে। ভয় না করলে কিছু হবে না। তার এমন বক্তব্যে কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।

এদিকে, নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম। রাস্তায় বিনা কারনে চলাচলকারীদেরকে লঘু সাজা প্রদান করা হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রধান সড়কের বাইরে নগরীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লার রাস্তায় বিকেলের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাস্তায় মানুষ চলাচল করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে, উপজেলা পর্যায়ে মানুষের মাঝে করোনা সংক্রমণরোধে সচেতনতা কম লক্ষ্য করা গেছে। পাড়া মহল্লায় চলছে আড্ডা। যদিও প্রশাসনের কড়া টহলদারিতে হাটবাজারে অহেতুক মানুষের চলাফেরা কমেছে।

এদিকে, অঘোষিত লকডাউনে অসহায় হয়ে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। জেলার প্রতিটি এলাকাতেই সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগেও চলছে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বলেছেন, সরকারি বা বেসরকারিভাবে যাঁরা ত্রাণ বিতরণ করছেন, দয়া করে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিন। নতুবা সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করুন। করোনা অদৃশ্য শত্রু। আপনি ঘর হতে বের হওয়া মানে করোনার আক্রমণের শিকার হবার আশঙ্কা বেড়ে গেল। ঘরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন। এছাড়াও কারও কোন সহায়তার প্রয়োজন হলে ০১৭১৭৬০৯০৫৩ নম্বরে ফোন করতে বলা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.