রাজশাহীতে জীবন বনাম জীবিকার যুদ্ধে লকডাউন ব্যর্থ হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার: গত এক মাসের অধিককাল যাবত চলছে সরকারী ছুটি,করোনাভাইরাস সর্তকতায় পুরো রাজশাহীকে লকডাউন করা হয়েছে। পাশের জেলাগুলো লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বন্ধ আছে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত, গণপরিবহন। জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচার-প্রচারণাও চালানো হয়েছে। কিন্তু ফল তেমন মিলছে না। ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসছে সাধারণ মানুষ। জীবন বনাম জীবিকার যুদ্ধে লকডাউন পরিস্থিতি যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে।

সকাল হতে শহরের রাস্তাগুলোতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো। এতে যারা সতর্কতায় করোনা মোকাবেলা করতে চায় তারাও পড়েছে হতাশায়।

রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার, নিউ মার্কেট, লক্ষ্মীপুর এলাকায় অনেক দোকানি তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনকে দেখানোর জন্য বাহির থেকে শার্টার বন্ধ থাকলেও ভেতরে দোকানি ঠিকই বসে থাকছে। শুধু তাই না, দোকানের মনোনিত প্রতিনিধিও দাঁড়িয়ে থাকছে ফুটপাতে। তারাই গ্রাহক ধরে নিয়ে যাওয়ার কাজ করে।

এছাড়াও প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়ার মানুষের সংখ্যা কম নয়। এতে লকডাউনের মধ্যে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে,বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

রাজশাহীর রাজপাড়া থানা এলাকায় কেশবপুর মহল্লায় মইদুল জানান, ১৭ দিন পরে ঘর থেকে বের হয়েছি  টুকিটাকি নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কেনার জন্য। কিন্তু বাজারে গিয়ে মাথায় নষ্ট,বাজারে জনসমাগম দেখে মনে হচ্ছে না আমরা লক ডাউন মানছি।

করোনায় ঝুঁকি আছে যেনেও ঘর থেকে বের হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাও কম না। তারা মুলত জীবিকার টানে রাস্তায় নেমেছেন।
এক রিকশাচালক জানান, পাঁচ দিন পরে বাড়ি থেকে বের হয়েছেন। বাড়ির সদস্য ৯ জন।

শহরে বা গ্রামে প্রকাশ্যে দল বেঁধে খেলাধুলা, চায়ের দোকানে আড্ডা, বন্ধুদের জটলা, গল্প কিছুই থেমে নেই। গ্রামীণ মানুষের এমন উদাসীনতা মানুষের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা, রাজশাহী জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন থেকে শুরু করে প্রশাসনের সঙ্গে জড়িতরা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে লকডাউনের উপরে জোর দিয়ে যাচ্ছেন।

কিন্তু কিছুতেই অনেক জনগণকে কোন ভাবেই সচেতন করা যাচ্ছে না। জীবিকার তাগিদে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.