রাজশাহীতে গুটি আসতে শুরু করেছে আমগাছে ভালো ফলনের প্রত্যাশায় কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমের রাজধানী রাজশাহীর আম গাছ গুলোতে থোকা থোকা মুকুলের মাঝে আসতে শুরু করছে গুটি। গুটি টিকিয়ে রাখতে বিশেষ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। এবার রাজশাহীতে ১৭ হাজার ৫৭৩ হেক্টর জমিতে আমের চাষ করা হয়েছে। এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন। প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে এবার ভালো ফলনের প্রত্যাশা করছেন চাষী ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

পবা উপজেলার আমবাগানী সাবিয়ার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এবার আমার আশেপাশের বাগানগুলোতে মুকুল ভালো হয়েছিলো। কিন্তু আমার বাগানে মুকুল কম ছিলো। এরমধ্যে কয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে। এতে কিছুটা শঙ্কাতেও ছিলাম। তবে এখন পর্যন্ত গাছে যে গুটি আছে তা টিকাতে পারলে ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।

আরেক কৃষক সাদ্দাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমার ১০ থেকে ১২ টা মতো আমের গাছ আছে। কিছুদিন আগে গাছের গোড়ায় সার প্রয়োগ করেছি। এবার মুকুল ভালোই এসেছিলো। সব মুকুলতো আর থাকবে না। এখন পর্যন্ত যে গুটি এসেছে তা ভালোই। পোকা যেন না লাগে সেজন্যে কিটনাশক প্রয়োগ করেছি। বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখিন না হলে ভালো ফলন হবে এমনই আশা করছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এবার আমরা আশা করছি আমাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হবে। এখন যে মুকুল আছে তার ১৫ থেকে ২০ ভাগ মুকুল টিকবে। আর এটায় ভালো ফলন। মুকুল এখন গুটি মটর দানার মতো হয়ে গেছে। এ সময় আমরা কৃষকদের কিটনাশক ও ছত্রাক নাশক স্প্রে করার জন্যে বলছি।

তিনি আরো বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি হওয়াতে আমের জন্যে ভালোই হয়েছে। আম গাছের পাতা থেকে ধুলা-ময়লাগুলো পরিষ্কার হয়েছে। এতে পাতার মাধ্যমে মুকুলগুলো বেশি পরিমাণে সূর্যালোক থেকে খাদ্য গ্রহণ করেছে। এতে ঝরে পড়া রোধ হবে। আকারেও বড় হবে। এছাড়া বৃষ্টির পর রোদ হওয়ায় ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ থেকে কিছুটা সুরক্ষিত হয়েছে। আর এখন বৃষ্টি হলে গুটির কোনো ক্ষতি হবে না। পরাগায়নের সময় বৃষ্টি হলে সমস্যা হতো। এখন গাছে হরমোন প্রয়োগের কোনো দরকার নেয়।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.