রাজশাহীতে গণহত্যা দিবসে দিনব্যাপী কর্মসূচি : প্রধানমন্ত্রীকে কঠোর হওয়ার আহবান


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন রাজশাহীর বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সমাজসেবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে দিন্যবাপী কর্মসূচি থেকে তারা এ আহবান জানান। কর্মসূচির মধ্যে ছিল সকাল সাড়ে ১০টায় মানববন্ধন এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় সমাবেশ। জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সকালের মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। আর রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিকেলের সমাবেশে সহযোগিতা করে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন “বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ চাই”।
জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি এয়াকুব বাদশার সভাপতিত্বে সকালের মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বিশিষ্ট কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা। মানববন্ধনে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলা সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় আরো বক্তব্য দেন- রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহঃ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, সালাউদ্দীন মিন্টু, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান, জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন বাংলাদেশের রাজশাহী মহানগর কমিটির আহবায়ক মো. কামরুজ্জামান, সদস্য সচিব মুহাম্মদ সালাউদ্দীন, ছাত্রনেতা তামিম শিরাজী।
এছাড়া বিকেলে সিনিয়র সাংবাদিক সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে ঢাকা থেকে সরাসরি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, রাশিয়ার স্টেট লমনোভোস্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এ সময় রাজশাহী প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য বিশিষ্ট কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রশান্ত কুমার সাহা প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন।
সাধারণ সম্পাদক আসলাম-উদ-দৌলার সঞ্চালনায় এ সমাবেশে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন- রাকসুর সাবেক ভিপি রাগিব আহসান মুন্না, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহঃ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল, সালাউদ্দীন মিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক দুখু, প্রচার সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, সদস্য মো. শরিফ উদ্দীন প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের প্রাক্কালেও দেশ দুর্নীতিমুক্ত হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন বাংলাদেশ দেখতে চাননি। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজ-লুটেরাদের বিরুদ্ধে গতবছর শুদ্ধি অভিযান শুরু করলেও তা বন্ধ হয়ে গেছে। আবারো সেই অভিযান শুরু করে দেশকে শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে। বৃহৎ স্বার্থে প্রয়োজনে জনশত্রুদের বিরুদ্ধে দেশনেত্রীকে আরো কঠোর হতে হবে।
এছাড়া একবছর থেকে বন্ধ থাকা দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অবিলম্বে খুলে দেয়ার দাবি জানান বক্তারা। ২৫ মার্চ প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, পৃথিবীতে এতবড় গণহত্যার নজির নেই। যেটি পাকিস্তানি সেনারা এদেশে ঘটিয়েছিল। অথচ পাকিস্তান এখনো ক্ষমা চায়নি। গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় দেশটির সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে তাদের সবকিছু বয়কট করা হবে।
দিনব্যাপী কর্মসূচিতে জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সদস্য রাকিবুল হাসান শুভ, সাগর নোমানী, আরিফুল ইসলামসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা প্রেরক: আমানুল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ, সদস্য, রাজশাহী প্রেসক্লাব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.