রাজশাহীতে কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিল রাবি ছাত্রলীগ

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহীতে কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতার্কমীরা। গতকাল সোমবার রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের নেতার্কমীরা রাজশাহী জেলার নওহাটার মহানন্দাখালীতে এক দরিদ্র্র কৃষকের প্রায় ১ বিঘা ১২ কাঠা জমির ধান মাঠ থেকে কেটে কৃষকের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন।

স্থনীয়রা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, দেশে করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। মাঠে ধান পাকলেও সেই ধান কাটার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। কীভাবে ধান কাটবেন, বাড়ি নেবেন, মাড়াই করবেন, কীভাবে অর্থের সংস্থান হবে- এ চিন্তায় অসহায় হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাবি ছাত্রলীগের একদল কর্মী।

জমির কৃষক খিজির আলী মুঠোফোনে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, করোনা ভাইরাস এর কারণে লোক জন পাচ্ছি না। এলাকার ছাত্রলীগের যে সমস্ত ভাইপো রা আছে তাদের কে বলার পর তারা আমার ধান গুলো কেটে দেয়। সবাই যদি এভাবে পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমরা বড় রকম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাব। তিনি প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, করোনা ভাইরাস এর কারণে চলমান লকডাউনে যে শ্রমিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগও দরিদ্র কৃষকের ধান কাটা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক দরিদ্র কৃষক শ্রমিক পাচ্ছেন না শুনতে পেয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিয়ে ওই অসহায় কৃষকের জমির ধান কেটে দিতে সহযোগিতা করি। এছাড়া তিনি বলেন যদি কারও সাহায্যের প্রয়োজন হয় আমাদের জানালে আমরা ওই কৃষকের পাশে দাঁড়াব।

ধান কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু, নওহাটা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সহ রাবি ছাত্রলীগ কর্মী নাঈম,শাকিব, তামিম,
জয় , মিঠুন, সাব্বির প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনার বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় নিয়ে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোন এই তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.