রাজশাহীতে করোনা আতঙ্কের মাঝেই আজ হঠাৎ করেই রাস্তা পথে দেখা গেছে মানুষের ব্যাপক চলাচল

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশ সহ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তৎপরতায় গত দুই দিন রাজশাহী শহর ছিল প্রায় ফাঁকা। অটোরিকশা-রিকশাও কম ছিল। মানুষজন কাজ ছাড়া খুব একটা বের হননি।কিন্তু আজকের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন। আজ রাস্তা পথে লোকজনের আনাগোনা ছিল চোখে পড়ার মত।

আজ সোমবার হঠাৎ করেই পাল্টে গেছে নগরীর অবস্থা। গত দুদিনে তুলনায় শহরের মানুষের বেড়েছে আনাগোনা। যেন পুরনো শহরের রূপ ফিরে আসছে। কোথাও কোথাও ওয়ান টাইম কাপে মোড়ে মোড়ে দুই-একটি চায়ের দোকানও খোলা ছিল। তবে পুলিশ দেখলেই বন্ধ করে দিচ্ছে।আবার কিছক্ষণ পর চা বিক্রয় শুরু করেছে। মানুষের পেটে হাত পড়লে কোন বাধায় মনে না।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন স্থানে খাবার বিতরণের নামে জনসমগম করে  বাড়িয়ে দিচ্ছে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি। আর এমন অসচেতন আচরণে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ব্যাপক আকারে । পাশাপশি সরকারের দেওয়া নির্দেশনা আমান্য করে এমন জনসমাগম হতে থাকলে করোনা ভাইরাস দেশও ভয়াবহ রুপ নিতে পারে বলে আনেকেই মনে করছেন।

নগরীতে দেখা গেছে, রাস্তায় অন্য দিনের তুলনায় প্রচুর অটোরিকশা। এক রিকশাতে গাদাগাদি করে যাত্রীরা যাচ্ছেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায়। বেশির ভাগের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। চায়ের স্টলও খোলা পাওয়া গেছে। বন্ধ থাকা দোকানপাটও কিছু খুলেছে। মুদি দোকান ও কাঁচাবাজারে যথেষ্ট ভিড় আছে।

নগরীর একজন অটোরিকশা চালক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, তিনি আজ সকাল সকাল বের হয়েছেন। তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। তাঁর বিশ্বাস, এই তাপে করোনাভাইরাস মরে যাবে।

নগরের মণিচত্বর এলাকার মোদি দোকানি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, অন্য দিনের তুলনায় ব্যাপক মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। এভাবে মানুষের আনাগোনা বেড়ে গেলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। পুলিশকে গত দুই দিনের মতো কঠোর হতে বললেন তিনি।

একই কথা বললেন ওই মোড়ের মাস্ক বিক্রেতা, তিনি বলেন, মাস্ক বিক্রি কমে গেছে। মানুষ অসচেতনভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইতালি-আমেরিকার মানুষও এমন করেছিল, পরে তো তাদের মহামারিতে পড়তে হলো।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.