নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের গুজব, বিভ্রান্তি এবং মরদেহের দাফন কাফন বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম, শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিয়ে মতবিনিময় ও প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর শালবাগান এলাকায় প্রতিষ্ঠানটির বিভাগীয় কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক জনাব মুহাম্মদ জালাল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির পুলিশ সুপার (অপারেশন) মো. আব্দুস সালাম।
ফিল্ড অফিসার এসএম হুমায়ুন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ দিনের কর্মশালায় প্রশিক্ষক ও প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমী রাজশাহীর উপ-পরিচালক ডা. মো. আসেম আলী।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একেএম মুজাহিদুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্যে একেএম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, মহামারীকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই। সবাইকে সজাগ হতে হবে। ব্যক্তি সচেতনতা বাড়াতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি ব্যক্তি সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে মসজিদে বক্তৃতা প্রদানের জন্য ইমামদের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক ও প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ডা. আসেম আলী বলেন, করোনারোধে মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। ভ্যাকসিন মানেই জনসাধারণ নিরাপদ নয়। মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। এ লক্ষ্যে মুসল্লিদের গতিবিধির দিকে খেয়াল রেখে ইমামদের সুন্দরভাবে বুঝাতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির পুলিশ সুপার (অপারেশন) মো. আব্দুস সালাম বলেন, ইমামরা রাষ্ট্রের সুনাগরিক ও রোল মডেল। মুসল্লিদের মোটিভেট করার সুযোগ পান তারা। তাই মুসল্লিদের মোটিভেট করতে হবে। মাস্কই ভ্যাকসিন। নাক-মুখ ও চোখ দিয়ে জীবাণু ঢুকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে মসজিদে মসজিদে ইমামদের সময়োপযোগী বক্তব্য প্রদান করা উচিত।
এ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক মুহাম্মদ জালাল আহমদ বলেন, সমাজে এখনো কিছু অজ্ঞ লোক রয়েছে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই। তবে তাদেরকেও সুন্দরভাবে বুঝাতে হবে। মাস্ক ব্যবহার শুধুমাত্র করোনার জন্য নয়। চারপাশে অনেক জীবাণু রয়েছে। সর্বদা নিরাপদ থাকতে মাস্ক ব্যবহার করা জরুরী।
এ দিনের কর্মসূচীতে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও নগরীর বিভিন্ন জামে মসজিদের ইমামরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ইমামরা করোনাকালে মসজিদে বক্তৃতা প্রদান ও মুসল্লিদের প্রতিক্রিয়া থেকে অর্জিত তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেন। এ সময় ইমামদের সমস্যার সম্মুখীন হওয়া পরিস্থিতি মোকাবেলা করে তা সমাধানের উপায় ও জটিলতা নিরসনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইমামদের পাশে থাকার আশ্বাস দেয়।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.