রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলা নির্বাচন স্থগিত চাইলেন আ.লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী

রাজবাড়ী প্রতিনিধি:  পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে, রাতে ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি, হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচন স্থগিত চেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম।

আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে ভোট স্থগিত করার দাবি জানান।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৫ম ও শেষ ধাপে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার ৪৬টি ভোটকেন্দ্রে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

কালুখালীতে চেয়ারম্যান পদে কাজী সাইফুল ইসলামের নৌকা প্রতীকের বিপরীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দকী হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ও সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নৌকার প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারমান।

কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা-মামলা ও ভয়ভীতি দেখানো শুরু করে একটি কুচক্রী মহল। তার প্রায় ২০ জন নেতাকর্মীকে মারধর ও কয়েকজনের হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ গত রবিবার তার প্রধান সমর্থক মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম মৃধাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে। এসব বিষয়ে পুলিশের কাছে একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোনও প্রতিকার পাইনি।

পুলিশের ভূমিকা নিরপেক্ষ নয়।তিনি আরও বলেন, আজ নির্বাচন কিন্তু এখনো নির্বাচনী এলাকায় প্রায় পাঁচ শতাধিক সন্ত্রাসী স্বশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে। রাতে আমার সমর্থক ও এজেন্টদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা করা হয়েছে।

এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। কেন্দ্রে কেউ ভোট দিতে গেলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে নির্বাচন স্থগিত চেয়ে আজ সকাল আটটায় নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। দুপুর ১২টা পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করা না হলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেব এবং এ বিষয়ে মামলা করব।

এদিকে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মাজবাড়ী ইউনিয়নের মাজবাড়ী ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর এজেন্ট ঢুকতে না দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য: কালুখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন পুরুষ ও চারজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে  এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫৯ জন। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪৬টি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.