যোগ্য বাবার যোগ্য কন্যা, উমা চৌধুরী জলিদি তুমি অনন্যা’


নাটোর প্রতিনিধি: বাবা হারানো একজন ছেলে হিসেবে জানি, বাবার যোগ্য সন্তান বলার চেয়ে বড় কোন প্রশংসা আমাদের কাছে আর কিছু হয় না। সেই অনুভুতি দিয়ে আমি বুঝি, নাটোর পৌরসভার মাননীয় মেয়র উমা চৌধুরী জলি নাটোর জেলা জুড়ে যতই প্রশংসিত হন, যত অর্জনই তার থাকুক না কেন, শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর যোগ্য সন্তান এটাই তার সবচেয়ে বড় অর্জন।

শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর যোগ্য সন্তান হওয়া কি চাট্টিখানি কথা ? নাটোরের সর্বদলীয় গণমানুষের প্রাণপ্রিয় নেতা স্বর্গীয় বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর যে অর্জন বা জনপ্রিয়তা তা কি শত বছরে কোন নাটোরের রাজনীতিবিদ পেরেছে করতে? তার রেখে যাওয়া এইবিশাল পদচিহ্নের কাছাকাছি যাওয়া কি সহজ? সহজ কি হয়েছে তার মেয়ের জন্যও। বরং, একথা সত্য যে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহোচর জমিদার শংকর গোবিন্দ চৌধুরী পরিবারের সন্তান মেয়ে বলেই হয়ত উমা চৌধুরী জলিদি নাটোর মানুষের সুখে অসুখে পাশে আছেন এবং থাকবেন।

উমা চৌধুরী জলির শরীরে রক্তেই রয়েছে মানুষের সেবা করার দায়িত্ব। তিনি তো নাটোরের মানুষের বিপদে আপদে বসে থাকতে পারবেনা এটাই সত্য। করোনার শুরু থেকে অদ্যবধি আমি নাসিম খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করলাম জলিদির খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম সহ মানবিক কাজ। যা দেখে জলিদির প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে গেছে ।

করোনার শুরু করে শহরে নানা শ্রেনী পেশার অসহায় কর্মহীন মানুষ অকাতরে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন। শুধু তাই নয় করোনা শুরু থেকে নাটোরবাসীকে ভালো রাখার জন্য তিনি দিনরাত ছুটে চলেছেন শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।কেবলমাত্র সরকারি ত্রাণ সহায়তা বণ্টন নয়, নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণ, শহরের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করা, স্থানীয় প্রশাসনকে পরামর্শ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণসহ নানা কাজে সরাসরি নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন সারাদিন। কোথায় নেই জলিদি।

একজন নারী হয়ে তিনি যে মানবিকতা দেখালেন তা শুধু শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর যোগ্য সন্তান বলেই সম্ভব হয়েছে। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েই তিনি ছুটে চলেছেন শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। আমি শহরের কয়েকটি এলাকার মানুষের খাদ্য সহায়তার জন্য দিদিকে বলছিলাম। তিনি নিজে গিয়ে বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা পৌচ্ছে দিয়েছেন।

আজ বললাম বৃষ্টি পাহানের সন্তানের কথা। ফোন করার ২০ মিনিটের মধ্যে দুধ.শিশুখাদ্য নিয়ে জলিদির প্রতিনিধি হাজির আদিবাসী পল্লীতে।

বিটিসি নিউজ সংবাদ মাধ্যমে “নাটোরে তিন যমজ সন্তান নিয়ে সংকটে বৃষ্টি পাহান সংবাদটি প্রচারিত হওয়ার পর নাটোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি উমা চৌধুরী জলির দৃষ্টি আকর্ষিত হয়। বৃষ্টি পাহানের বাড়িটি সদর উপজেলার হরিশপুর ইউনিয়নের আদিবাসী পল্লী হাজরা নাটোরে।

নাটোর পৌর এলাকার বাহিরে হওয়ার পর ও মানবিক কারণে তিনি সংবাদটি দেখেই কাউন্সিলর নান্নু শেখ ও ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবুল আকতারকে দিয়ে পাঠান তিন যমজ সন্তানের জননী বৃষ্টি পাহানের বাড়িতে। তারা পৌর মেয়র উমা চৌধুরী জলির পক্ষ থেকে দুধ,শিশু খাদ্য এবং নগদ টাকা তুলে দেন পরিবারটিকে ।

স্থানীয় কাউন্সিলর নান্নু শেখ বলেন,পৌর মেয়র উমা চৌধুরী সংবাদটি দেখেই তড়িৎ আমাকে দিয়ে দুধ,শিশুখাদ্য এবং নগদ টাকা পাঠান ।মেয়রের পক্ষ থেকে তিন যমজ শিশুকে প্রয়োজনীয় সাহায্য অব্যাহত থাকবে ।পৌর মেয়র তিন যমজ শিশু ভাতার জন্য ইতিমধ্যে বড় হরিশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছেন ।

এ সময় বৃষ্টি পাহান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পৌর মেয়র জলিদি আমার তিন যমজ বাচ্চার জন্য যে সাহায্য করলো তা আজীবন মনে রাখবো। সাংবাদিক ভাইয়েরা লেখার জন্য আমার তিন বাচ্চার দুধসহ খাবার ব্যবস্থা হলো । হামি খুশি আছি বাবু।

আদিবাসী পল্লী প্রধান পরিস্কার সরদার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, করোনার শুরু থেকে মেয়র জলিদি মানবতার সত্যিকার ফেরিওয়ালার ভূমিকায় আছেন। অসহায় তিনযমজ শিশুর পার্শ্বে দাঁড়ানোর জন্য পৌর মেয়র এবং বিটিসি নিউজ এর সাংবাদিককে ধন্যবাব জানান ।

উল্লেখ্য…সম্প্রতি বিটিসি নিউজ সংবাদ মাধ্যমে সংবাদটি প্রচারিত হয় নাটোর শহরের হাজরা নাটোর এলাকার আদিবাসী পল্লীর দিনমজুর কাশিনাথ পাহানের স্ত্রী বৃষ্টি পাহান। ২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল সিজারের মাধ্যমে বৃষ্টি পাহান তিন ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। বাচ্চাদের নাম রাখা হয় কর্ণ, কেশব, কৈশিক। একই রকম চেহারার তিন শিশুকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে আদিবাসী পরিবারটি। বাচ্চাদের বাজার থেকে দুধ কিনে খাওয়াতে হয়। করোনার লকডাউনে তাদের কেউ সাহায্য করেনি। তিন সন্তানের জনক কাশিনাথ পাহান মানুষের জমিতে ক্ষেতমজুরের কাজ করে যা পান তা দিয়ে পাঁচজনের সংসার খেয়ে না খেয়ে দিনানিপাত করছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.