মোনাকোর বিপক্ষে বড় জয় পিএসজির

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: লিওনেল মেসি ও নেইমার জুনিয়র চলে যাওয়ার পর অনেকটাই জনপ্রিয়তা হারিয়েছে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। মেসি নেইমার না থাকলেও ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের দলে এখনো আছেন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে।
শুক্রবার রাতে এমবাপ্পে আবারও প্রতিপক্ষের জাল কাঁপাল আর এমবাপ্পের সাথে গোল করল দেম্বেলে, গনসালো রামোস, ভিতিনহা এবং রান্ডাল কোলো মুয়ানি। পিএসজির পাঁচ খেলোয়াড়ের পাঁচ গোলে মোনাকোকে ৫-২ ব্যবধানে হারিয়েছে লুইস এনরিকের দল। এই জয়ে ফরাসি লিগ ওয়ানের শীর্ষ স্থান আরও পাকাপোক্ত করল লিগ ওয়ানের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাতের খেলায় পিএসজি ফরাসি লিগের আরেক জায়ান্ট মোনাকোকে হারিয়ে লিগ ওয়ানের শীর্ষে দ্বিতীয় স্থানের দল থেকে পয়েন্টের ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে চার পয়েন্টে। ম্যাচে মোনাকোর সামনে সুযোগ ছিল ম্যাচ জয়ের কিন্তু লিগ ওয়ানের চ্যাম্পিয়নদের দ্বিতীয়ার্ধের ঝড়ে উড়ে গেছে তৃতীয় স্থানে থাকা মোনাকো।
লুইস এনরিকের দল এই জয় দিয়ে মঙ্গলবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে আগেই বার্তা দিয়ে রাখল।
প্রথমার্ধে গনসালো রামোসের ওপেনার এবং কিলিয়ান এমবাপ্পের পেনাল্টির সুবাদে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা প্যারিসিয়ানরা উসমানে দেম্বেলে এবং ভিতিনহার দুই মিনিটের দুই গোলে খেলাটিকে মোনাকোর নাগালের বাইরে নিয়ে যায়।
মোনাকো অবশ্য ভালো খেলেই দুটি গোল আদায় করে নিয়েছিল এবং বেশির ভাগ সময়জুড়ে খেলাটিতে টান টান উত্তেজনা বজায় রেখেছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাগ্য তাদের সহায় হয়নি।
লিভারপুলের সাবেক মিডফিল্ডার তাকুমি মিনামিনো মোনাকোর স্ট্যান্ডআউট খেলোয়াড় ছিলেন এবং প্রথমার্ধে দলের সমতাসূচক গোালটি তার পা দিয়েই এসেছিল। পরে এই ম্যাচ দিয়ে শুরুর একাদশে ফেরা ফোলারিন বালোগুনকে ভিতিনহা পিএসজির চতুর্থ গোল করার পর একটি সান্ত্বনামূলক গোল করেন।
লিগ ওয়ান এর এক ও তিনের মধ্যে খেলায় সাত গোল হলেও প্রথম তিনটি গোলই ছিল ডিফেন্ডারের ভুল থেকে আসা।
প্রথম গোলটি মোনাকোর গোলকিপার ফিলিপ কোহন রামোসকে উপহার দেন একপ্রকার। তারপর পিএসজি গোলকিপার জিয়ানলুইগি দোনারুমা মিনামিনোর কাছে বল দিয়ে মোনাকোর সমতায় আসার সুযোগ করে দেয়। পরে মোনাকো ডিফেন্ডার মাঙ্গাসা ডেম্বলেকে ফেলে দিলে পেনাল্টি থেকে গোল করে এগিয়ে থেকে পিএসজিকে প্রথমার্ধের বিরতিতে পাঠান।
মোনাকো সমান পায়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করে এবং বালোগুন, মিনামিনো এবং আলেকজান্ডার গোলোভিন সবারই আরও একবার সমতা করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু তারা সুযোগ না নিলে পিএসজি দেম্বেলে, ভিতিনহা এবং বিকল্প হিসেবে নামা রান্ডাল কোলো মুয়ানির গোলে জয় নিয়েই পার্ক দ্যু প্রিন্সেস ত্যাগ করে। শেষদিকে বালোগুন একটি গোল করে মোনাকোর জয়ের ব্যবধানই খালি কমাতে সক্ষম হন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.