মোংলা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কাউন্সিলরের জেল-জরিমানা

 

খুলনা ব্যুরো: মোংলা বন্দর বাঁচাও আন্দোলনের নামে অবৈধভাবে ২লাখ ২০হাজার টাকা আত্মসাতের মামলায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার সাবেক মেয়র মোল্লা আব্দুল জলিল ও ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ এমরান হোসেনকে এক বছর সশ্রম কারাদন্ড, ২লাখ ২০হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ২মাসের সশ্রম কারাদ- দিয়েছে আদালত।

সোমবার খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এসএম আবদুস ছালাম এ রায় ঘোষণা করেন। দ-প্রাপ্ত আসামি সাবেক মেয়র মোল্লা আব্দুল জলিল মোংলা খোনকারের বেড় এলাকার আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে। ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ এমরান হোসেন মোংলা কলেজ রোডের মৃত আবুল বাশারের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে দ-প্রাপ্ত দুইজন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালে মোংলা বন্দরের পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ায় হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। মোংলা বন্দরকে বাঁচানোর তাগিদে বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার সমন্বয়ে দলমত নির্বিশেষে মোংলা বন্দর বাঁচাও আন্দোলনের ডাক দেয়। এজন্য মোংলা বন্দর বাঁচাও পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির পক্ষে উপ-অর্থ কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর মোঃ এমরান হোসেন ২০০৫ সালে ২২মার্চ ৩লাখ টাকা অনুদানের জন্য মেয়র বরাবরে আবেদন করেন। পৌরসভার মেয়র মোল্লা আব্দুল জলিল পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই ২লাখ ২০হাজার টাকা অনুমোদন দেন।

কাউন্সিলর এমরান হোসেন অগ্রণী ব্যাংক মোংলা শাখা থেকে উক্ত টাকা উত্তোলন করেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার উপসহকারী পরিচালক মোঃ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মোংলা থানায় দুর্নীতি দমন আইনে আব্দুল জলিল ও এমরান হোসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরের বছরে ৩০সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক মোঃ এনায়েত হোসেন আদালতে আব্দুল জলিল ও এমরান হোসনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট খোন্দকার মুজিবর রহমান।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.