মিয়ানমারে আর্টিলারি ফাঁড়ি দখলে নিল বিদ্রোহীরা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কমিয়ানমার সেনাবাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলার মধ্যেই থাই সীমান্তবর্তী একটি আর্টিলারি ফাঁড়ি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। এদিকে, চুক্তির শর্ত পূরণ না করায় মিয়ানমারকে ছাড়াই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় আসিয়ানের বিশেষ দূতকে দেশটির পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। তবে মিয়ানমারকে সহায়তা বন্ধের পাশাপাশি জান্তা সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস।
মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের দমনে প্রতিনিয়ত বিমান হামলা চালাচ্ছে দেশটির সেনারা। অন্যদিকে, জান্তা সরকারকে প্রতিহত করতে তীব্র আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। কারেন প্রদেশে একের পর এক বিমান হামলার মধ্যেই থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মায়াওয়াদ্দির পাহাড়ি অঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটি আর্টিলারি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিসহ আরও কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা। এ সময় বিভিন্ন গোলা ও অস্ত্রসরঞ্জামও তাদের দখলে নেয় তারা।
গত বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জান্তাবিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী। এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়েছেন। এ অবস্থার মধ্যেই বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়ায় বৈঠকে বসেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
মিয়ানমার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে জোটটির সঙ্গে জান্তা সরকারের করা পাঁচ দফা চুক্তির বাস্তবায়ন না হওয়ায় মিয়ানমারকে এবারের বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। তবে শুধু পর্যবেক্ষক হিসেবে অনলাইনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয় দেশটিকে।
বৈঠকে অবিলম্বে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের তাগাদা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। বিশেষ করে দেশটির নতুন ইউনিটি সরকারের সঙ্গে আলোচনার ওপর জোর দেন তারা। অন্যথায় বিকল্প পথ হিসেবে আসিয়ানের প্রতিনিধিদের নেপিদো পরিদর্শনের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রাক সোখন বলেন, ‘যেকোনো মূল্যে মিয়ানমারের চলমান সংকট সমাধান করতে হবে। সেটা ইউনিটি সরকারের সঙ্গে বা বাইরের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গেই হোক। আমাদের সবাইকে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। শুধু বৈঠকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে ওই অঞ্চলের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। মিয়ানমারের পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে।’
মিয়ানমার সংকট সমাধানে আসিয়ানকেই কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করে মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, জান্তা সরকার জনগণের নির্বাচিত কোনো সরকার নয়। তাই এ সরকারকে সব ধরনের সহায়তা স্থগিত রাখার তাগাদা দেওয়ার পাশাপাশি অভ্যুত্থানে জড়িতদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানায় ফোর্টিফাই রাইটস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.