মিঠাপুকুরে পান বিক্রেতাকে ‘মাদক ব্যবসায়ী’ সাজিয়ে আটক: জনতার হাতে অবরুদ্ধ ২ পুলিশ

 

 

রংপুর ব্যুুরো :  রংপুরের মিঠাপুকুরের ভাংনি ইউনিয়নের হুলাশুগঞ্জে মঙ্গলবার রাতে একজন ক্ষুদে পান ব্যবসায়ীকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে আটক করায় এএসআইসহ ২ পুলিশ সদস্যকে গুদামে অবরুদ্ধ রেখে বিক্ষোভ স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানার ওসি ও স্থানীয় চেয়ারম্যান অভিযুক্তদের দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে জনতা তাদের ছেড়ে দেয়।

মিঠাপুকুর থানাও জসি জানিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধনত কর্তপক্ষকে জানানো হয়েছে। আর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বলেছেন, সোর্সের মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য পেয়ে তাকে আটক করতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ভাংনী ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার ভাংনী ইউনিয়নের হুলাশুগঞ্জ বাজারে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে পান ব্যবসায়ী আবু তাহেরের দোকানে যান মিঠাপুকুর থানার সহকারী এএসআই মশিউর রহমান ও কনস্টেবল মজনু মিয়া।

ক্রেতা সেজে তার পানের দোকানে গাঁজা দিয়ে মাদক ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করে আবু তাহেরকে আটক করে পুুলিশ। এসময় বাজারের লোকজন তাকে আটকের প্রতিবাদ জানায়। মূহূতেই শত শত লোকজন ওই দুই পুলিশ সদস্যদের ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে ওই দুই পুলিশ বাজারের পাশের একটি গুদাম ঘরে আশ্রয় নেয়। এসময় উত্তেজিত জনতা গুদাম ঘরের চতুর্দিকে ঘিরে ফেলে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে।

চেয়ারম্যান জানান, খবর পেয়ে বিষয়টি আমি ওসিকে জানাই। পরে আমি এবং মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক।এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা দ্ইু পুলিশ সদস্যের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে ওসি ও চেয়ারম্যান ওই দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়ার অঙ্গিকার করলে জনতা শান্ত হন। পরে ওসি ওই পুলিশ সদস্যদের নিয়ে থানায় চলে যান।

চেয়ারম্যান জানান, পুলিশ একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে আটক করার চেষ্টা করেছে। এতে জনতা প্রতিরোধে গড়ে তুলেছে। পুলিশের এ ধরনের কাজ গ্রহনযোগ্য নয়।  এব্যাপারে ঘটনার শিকার পান ব্যবসায়ী আবু তাহের বলেন, আমি মাদক তো দুরের কথা সিগারেট পর্যন্ত খাইনা। আমাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে আমাকে হয়রানীর চেষ্টা করেছে পুলিশ।

আমি এ ঘটনার নিন্দা জানাই। এলাকাবাসি আমার পক্ষে ইেগয়ে না আসলে তারা আমাকে মাদক ব্যবসায়ী বলে চালিয়ে দিতো। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই আমি।  অভিযুক্ত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমান বলেন, আমি আমার সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে তাকে আটকের চেস্টা করি। পরে স্থানীয় জনগন আমাকে জানায়, আবু তাহের মাদক ব্যবসায়ী নয়।

ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।  মিঠাপুকুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আজিম উদ্দিন বলেন, ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। মিঠাপুকুর থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, অভিযুক্ত এএসআই মশিউর রহমান আমাকে না জানিয়ে হুলাশুগঞ্জ বাজারে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করতে যান। তার বিরুদ্ধে আইনতগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.