মা ইলিশ সংরক্ষণে দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের বাইশ দিন ব্যাপী কঠোর অভিযান

দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি: দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মা ইলিশ সংরক্ষণে মোবাইল কোর্ট ও দিনরাত অভিযান পরিচালিত হয়। এ অভিযান পরিচালনায় সর্বাত্নক সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রশাসন, দিঘলিয়া মৎস্য দপ্তর, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, দিঘলিয়া থানা পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার ও গ্রাম পুলিশের সদস্যগণ।
বাংলাদেশ সরকারের ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ব্যাপী সারা দেশের নদ-নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালিত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন ও দিঘলিয়া মৎস্য দপ্তর বাংলাদেশ নৌবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ, আনসার, গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় দিঘলিয়া উপজেলার আত্রাই, ভৈরব ও মজুদখালী নদীতে দিন-রাত অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
এ অভিযান পরিচালনার ফলে নদী থেকে কয়েক লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল, নেট জাল, পাটা ও অন্যান্য মাছ ধরা যন্ত্রপাতি উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতেও সমানতালে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।
আজ ছিল অভিযানের শেষ দিন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দিঘলিয়া উপজেলার নদীগুলোতে অভিযান পরিচালিত হচ্ছিল। তবে শেষ দিনে নদীতে কোনো প্রকার জাল আটক করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের অংশ হিসেবে দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন, দিঘলিয়া থানা পুলিশ ও বারাকপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশের সদস্যরা মজুদখালী ও অতাই নদীতে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ৫০০ মিটার কারেন্ট জাল আটক করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
গত ২৬ অক্টোবর দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে ভৈরব, আতাই ও মজুদখালী নদীতে অভিযানে আটককৃত প্রায় ৫০০০মি কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
গত ২৫ অক্টোবর উপজেলা প্রশাসন ও দিঘলিয়া থানা পুলিশের উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে চাষিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খালে পাটা ও বেহুন্দি উচ্ছেদ অভিযান এবং ঝড়ে ক্ষয় ক্ষতি সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়।
এ সময় ৫টি পাটা বাঁধ উচ্ছেদ করে বিনষ্ট করা হয় এবং আতাই ও মজুদখালী নদীতে অভিযানে আটককৃত প্রায় ৫০০০ মিটার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। উদ্ধারকৃত ১টি জীবিত ইলিশ নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর দিঘলিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল কাসেম। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.