মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ঘুড়ে আসুন শালবন

লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ  সারি সারি শাল আর ঝাউগাছ। সঙ্গে নানা রকমের পাখির কলকাকলি। বিশাল বনের মাঝ দিয়ে চলে গেছে মেঠোপথ। পথ ধরে এগিয়ে গেলে মিলবে গভীর অরণ্য। এমন দৃশ্য দেখে যে কারো মন ভরে উঠবে। মনে জাগবে অন্যরকম অনুভূতি।
প্রকৃতির এমন সান্নিধ্য পেতে পরিবার ও প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস এলাকায় প্রাকৃতিক অরণ্য শালবনে।
সরেজমিন দেখা যায়, বিশাল বনে গাছের নিচে আলাদা করে লাগানো হয়েছে বেতগাছ। পাখির কিচিরমিচিরের সঙ্গে দিনের বেলাতেও শোনা যায় ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। নানা রঙের ফড়িং, মাকড়সা, বুনো ফল দেখে মনে অন্য রকম ভালোলাগা কাজ করবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সময় অরক্ষিত থাকলেও নিরাপত্তা এবং বনানী রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ও বন বিভাগের উদ্যোগের ফলে এখানে পর্যটকদের আগ্রহ বেড়েছে। চারপাশে নির্মাণ করা হয়েছে সীমানা প্রাচীর। রয়েছে পর্যটকদের বসার জায়গা, বিশ্রামাগার এবং শৌচাগারসহ নানা সুযোগ-সুবিধা।
সীমান্তবর্তী এ জেলার বিনোদন প্রিয় মানুষের জন্য কোনো পর্যটন কেন্দ্র নেই। ফলে মানসিক প্রশান্তির খোঁজে জেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ ভিড় জমান এ শালবনে। বনটিকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনা থাকলেও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাব রয়েছে।
এজন্য জায়গাটি এখনো পর্যটকবান্ধব হয়ে উঠতে পারেনি। প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা এ শালবনটি সংস্কার করে বন্যপ্রাণীর অভায়শ্রম ঘোষণা করে পর্যটন স্পট করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় কলেজ ছাত্র নূর ইসলাম বলেন, ঈদসহ বিভিন্ন ছুটির দিনে বিনোদন প্রিয় মানুষের সমাগম ঘটে এই শালবনে। বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম ঘোষণা করে এ বনকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছি।
 নওদাবাস ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অশ্বিনী কুমার বসুনিয়া বিটিসি নিউজকে জানান, প্রায় অর্ধশতাধিক একর আয়তনের এ শালবনটি রক্ষায় বনবিভাগের এই বিটে জনবল সংকট রয়েছে।
পর্যাপ্ত বনরক্ষী না থাকায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় সমস্যা হচ্ছে। বনটি সংস্কার করে পর্যাপ্ত জনবল দিয়ে বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম করলে এখানে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে পর্যটনসেবা বঞ্চিত বিনোদন প্রিয় মানুষের চিত্ত-বিনোদনেরও একমাত্র স্পট হতে পারে এই শালবন।
 এ জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এই বনে সড়ক ও রেলপথে যাওয়া যায়।
রাজধানী ঢাকা থেকে লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন অথবা সড়কপথে বাসযোগে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা শহরে পৌঁছে প্রাইভেট কার, বাস, মিনিবাস, রিকশা, ভ্যান ভাড়া করে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই পৌঁছে যাবেন শালবনে।
এখানে রাতযাপনের ব্যবস্থা নেই। তবে হাতীবান্ধা শহরে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর লালমনিরহাট প্রতিনিধি হাসানুজ্জামান হাসান। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.