মশা নিধনে দ্রুত রাসিক মেয়রের হস্তক্ষেপ চাই রাবি প্রশাসন


রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা কেমন অত্যাচার করে এমন প্রশ্ন করার আগে আপনার শরীরে মশার কামড় পড়ে যাবে এতটুকু নিশ্চিত করেই বলা যায়।

এখানে মশার উপদ্রব বছর জুড়েই বিদ্যমান। আবাসিক হলে থাকা, ক্যাম্পাসে আড্ডা কিংবা গ্রুপ স্টাডি অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক জীবনাচরণে এই মশার উপদ্রব বিস্তর সমস্যার মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষার্থীরা।

অপরদিকে, ছাত্র উপদেষ্টা গত ফেব্রুয়ারী মাসেও বলেছিলেন শীঘ্রই মশা নিধনে স্প্রে মারা হবে। কিন্তু সুর উল্টে প্রশাসনও এখন তাকিয়ে আছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের দিকে।

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অতিরিক্ত ও অপরিকল্পিত দোকানপাট এবং তাদের বর্জিত বর্জ্য, ক্যাম্পাসে ঝোঁপঝাড়, অপরিচ্ছন্ন জঙ্গল, অপরিষ্কার ড্রেন, ক্যাম্পাসের পরিচ্ছন্নতায় কর্তৃপক্ষের নজর না থাকা ইত্যাদির ফলে মশার উপস্থিতি চরম আকার ধারণ করেছে।

বিকেল থেকে মশার উপদ্রব অপেক্ষাকৃত বেশি হয়। সন্ধার পর আর এক স্থানে স্থির থাকার উপায় থাকে না। ক্যাম্পাসে সচরাচর আড্ডা, গ্রুপ স্টাডি, আবাসিক হল রুমে পড়াশোনাসহ সকল স্বাভাবিক পরিবেশে বিঘœ ঘটছে। এমনকি ক্লাসরুমেও মশার কামড়ে মনোযোগ ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক শিক্ষার্থীই বিভন্ন রকম রকম সমস্যার শিকার হচ্ছে। অনেকের পড়াশোনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। ক্যাম্পাসে খাবারের দোকানগুলো যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে, তাদের পানি জমে মশার বংশ বিস্তারে সহায়তা করছে।

এছাড়া হলের ময়লা-আবর্জনা ফেলার ডাস্টবিনগুলো অনিয়মিত পরিষ্কার করা, জঙ্গল ও ড্রেনগুলো পরিষ্কার না করায় মশার অত্যধিক উৎপাদন হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত যতো দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা।

ক্যাম্পাসে আড্ডায়রত কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে মশা উপদ্রবের বিষয়টা উল্লেখ করতেই তারা হাসতে হাসতে আক্ষেপের সুরে বিটিসি নিউজকে বলতে লাগলেন, ‘ভাই, কিছুক্ষণ এখানে বসেন। নিজেই টের পাবেন মশা কাকে বলে! মশা নিধনে প্রশাসনের ন্যূনতম ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে না। আমরা চাই খুব দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করুক’।

মশা নিধনের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা বা আদৌ হবে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বলেন, মশা নিধনের ব্যাপারে রাসিক মেয়রের সাথে কথা বলেছি।

ব্যাপারটা সম্পূর্ণ মেয়রের উপর নির্ভর করছে। তিনি যদি এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ না নেন তাহলে আমাদের কিবা করার আছে! মশা নিধন করতে তো আর মেয়রের কাছে লিখিত ভাবে অনুরোধ করতে পারি না। এ পর্যন্ত দু বার বলেছি। শীঘ্রই আবার বলবো। দেখি শেষ পর্যন্ত তিনি কি ব্যবস্থা নেন। অবশ্য পজিটিভ দৃষ্টি দেবেন বলে আশা করছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.