বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মঙ্গল গ্রহে মহাকাশযান পাঠাল নাসা। বৃহস্পতিবার এই মহাকাশ যানের সফল উেক্ষপণ হয়েছে। আমেরিকার প্রযুক্তি সংস্থা ব্লু অরিজিনের কর্ণধার জেফ বেজোস। তিনি অ্যামাজনেরও কর্ণধার। ব্লু ওরিজিনের রকেট নিউ গ্লেনের চার দিন আগেই মহাকাশে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার জন্য উেক্ষপণ হয়নি।
বৃহস্পতিবার নিউ গ্লেনের সফল উেক্ষপণ হয়। আমেরিকার মহাকাশচারী জন গ্লেনের নামানুসারে রকেটটির নামকরণ করা হয়েছে। মঙ্গলের কক্ষপথে দুইটি অরবিটর রেখে রকেটটি আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছে।
মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসার পর এই রকেটটিকে আবার উেক্ষপণ করা যায় কিনা, তা নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে ব্লু ওরিজিন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা ইলন মাস্কের স্পেস এক্সও এই একই কাজ করে থাকে। এই সাফল্য ব্লু অরিজিনকে স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ পুনঃব্যবহারযোগ্য মডেলের আরো কাছাকাছি নিয়ে গেছে। আগামী দিনে তা বাণিজ্যিক এবং নাসার মিশনের সম্ভাবনাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদী সবাই। ব্লু অরিজিনের ৩২১ ফুট লম্বা নিউ গ্লেন রকেটটি বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উেক্ষপণ করা হয়।
জানা গেছে, রকেটের প্রথম পর্যায়ের বুস্টারটি স্বায়ত্তশাসিতভাবে সমুদ্রভিত্তিক প্ল্যাটফরম জ্যাকলিনে সোজা হয়ে অবতরণ করে। এই অঞ্চলটি আটলান্টিকের প্রায় ৩৭৫ মাইল ডাউনরেঞ্জে অবস্থিত। প্রসঙ্গত, জানুয়ারিতে নিউ গ্লেনের প্রথম উেক্ষপণ কক্ষপথে পৌঁছালেও বুস্টারটি অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৭ সালে এসকেপেড মঙ্গলে পৌঁছাবে। এর পরের শরতে যখন পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহ আদর্শ সারিবদ্ধ অবস্থায় থাকবে, তখন পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ এসকেপেডকে মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণ করতে সাহায্য করবে। মঙ্গল গ্রহ প্রদক্ষিণ করার পর মহাকাশযানটি ঐ গ্রহের বাইরের বায়ুমন্ডল এবং বিক্ষিপ্ত চৌম্বক ক্ষেত্র পরীক্ষা করবে। #

















