ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারের  ভুল চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী মরিয়ম সুলতানা মুন্নীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মরিয়ম সুলতানা মুন্নি পিত্তথলিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল মতিনের তত্ত্বাবধানে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. তপন মন্ডলের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন মুন্নি।

ভুল ইনজেকশনে প্রতিক্রিয়া বেগতিক দেখে হাসপাতাল কতর্পক্ষ দ্রুত বোর্ড গঠন করে উন্নত চিকিৎসার জন্য মরিয়মকে খুলনার শহিদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচচার্ কেন্দ্র (আইসিইউ)-তে রাখা হয়েছে। মরিয়মের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে উল্ল্যেখ করেছেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীর স্বজনরা অভিযোগ করে বিটিসি নিউজকে বলেন, মরিয়মকে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমরা অভিযুক্ত নার্সের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

গোপালগঞ্জের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উপপরিচালক ড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। আশা করি মেয়েটি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। ওই নার্স দোষী হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মরিয়ম সুলতানা মুন্নী গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের মোঃ মোশারফ হোসেনর মেয়ে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি  শাফিউল কায়েস।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.