নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে চুরি যাওয়া গরু ও মহিষ উদ্ধার এবং চোর ধরতে গিয়ে উল্টো সংঘবদ্ধ গরু চোরদের হামলায় আহত হয়েছেন ৭ গ্রামবাসী। পরবর্তীতে খবর পেয়ে আশে-পাশের অন্যান্য গ্রামবাসী এগিয়ে আসলে একজন গরুচোরকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং বাকীরা পালিয়ে যায়। তবে এসময় চুরি যাওয়া তিনটি উন্নত প্রজাতির গরু ও একটি মহিষ উদ্ধার করে গ্রামবাসী। সোমবার (২৩ এপ্রিল) দিনে দুপুরে উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নারায়নপুর স্কুল পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধৃত চোর ও উদ্ধার হওয়া গরু-মহিষ থানায় নিয়ে আসে।
চোরদের হামলায় আহত ৫ গ্রামবাসীকে স্থানীয় চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গরুর মালিক পাবনা জেলার টেবুনিয়া মালিদাহ গ্রামের আবুল খায়ের মিয়া জানান, রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তার বাড়ির গোয়ালঘর থেকে সংঘবদ্ধ ৭/৮ জন গরুচোর বেড়া ভেঙ্গে গরু গুলো নিয়ে ছাদহীন লেগুনা গাড়িতে উঠায়। পরবর্তীতে টের পেয়ে একটি সিএনজি আটোরিক্সা নিয়ে লেগুনা গাড়িটিকে ধাওয়া করলে গাড়িটি বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর শিবপুর বিল এলাকায় ঢুকে পড়ে। কিন্তু মাত্র তিনজন থাকায় বিল এলাকায় তারা আর যাওয়ার সাহস পায়নি।
পরে সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করে ওই গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ে নারায়নপুর স্কুল পাড়ায় তল্লাশী চালালে এসময় সংঘবদ্ধ ১০/১২ জন চোর লাঠি, রড, হাসুয়া নিয়ে শিবপুর গ্রামবাসীদের উপর হামলা চালায়। এ সময় আহত হয় ওই গ্রামের নাজমুল হোসেন (২২), কাদেও সেখ (৩২), রাজ্জাক মোল্লা (৩০), জাকির সরকার (৩০) ও নবিউল সেখ (২৮) সহ ৭ জন গ্রামবাসী। চোরের হামলায় পালিয়ে এসে অন্যান্য গ্রামবাসীদের নিয়ে পূণরায় চোরদের ধরতে স্কুল পাড়ায় গেলে সেখান থেকে মিরাজ সরকার (৪০) নামে এক গরু চোরকে আটক করা হয় এবং তিনটি গরু ও পুকুর থেকে জীবিত মহিষ উদ্ধার করা হয়। মহিষটি গত শুক্রবার উপজেলার মাঝগাও ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার আমির হোসেনের বাড়ি থেকে চুরি হয়।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ধৃত চোরকে জিজ্ঞাসাবাদে তার সাথে থাকা ৮ জনের নাম প্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে। অন্যান্য চোরদের আটক করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.