বড়াইগ্রামে চালককে রক্তাক্ত জখম করে দুই মহিষ ছিনতাই

 

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বনপাড়া-গোপালপুর আঞ্চলিক সড়কের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও বাহিমালী এলাকায় একটি ধান বোঝাই মহিষের গাড়ি গতিরোধ করে চালককে রক্তাক্ত জখম করে দুইটি মহিষ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে ডাকাতের একটি দল।  দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মহিষের গাড়ির চালক লালপুরের পাটকাবাড়ি গ্রামের আব্দুর সাত্তারের ছেলে রায়হান হোসেন (৩০) কে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা বনপাড়া আমেনা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রায়হান হোসেন জানান, সিংড়া চলনবিলে গত ১৫ দিন যাবত তার মহিষের গাড়িতে ওই এলাকার কৃষকদের ধান বহন করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার কাজ শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির দিকে রওনা দেন তিনি। এ কাজের প্রাপ্য মজুরী হিসেবে প্রায় ১৮ মন ধান নিয়ে মহিষের গাড়ি চালিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে বাহিমালী এলাকায় পৌঁছালে একটি দাঁড়িয়ে থাকা পিকআপ (মিনি ট্রাক) থেকে ড্রাইভার বলেন ‘ভাই গাড়িটা একটু ঠেলে দিবেন, স্টার্ট নিচ্ছে না’। পরে মহিষের গাড়ি থেকে নেমে পিকআপের সামনে যেতেই ৪/৫ জন ডাকাত লোহার রড দিয়ে মাথায় কয়েকদফা আঘাত করে আমাকে জখম করে এবং কোন শব্দ করলে মেরে ফেলার হুমকী দেয়।

এ সময় দুর্বৃত্তরা ওই মিনি ট্রাকে দুইটি মহিষ উঠিয়ে নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সড়ক সংলগ্ন বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। সকালে পরিবারের লোকজন ও আত্বীয়-স্বজন এসে মহিষের গাড়ি ও ধান বাড়িতে নিয়ে যায়। আহত রায়হান আরও জানান, তার ওই দুই মহিষের বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ওই মহিষ হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন তিনি।

বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ও পরে বিভিন্ন সড়কে বার্তা পৌঁছে দিয়েও দুর্বৃত্তরা ধরা যায়নি। এটা পরিকল্পিত একটি ঘটনা। তিনি আরও জানান, মহিষ উদ্ধার ও দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করতে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.