ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সমালোচনার মুখে রানি এলিজাবেথ

ছবি: সংগৃহীত

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের উদ্বোধনী ভাষণের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলো। ইইউ থেকে ব্রিটেনের বিচ্ছেদের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা তাদের।

ব্রেক্সিটের ঠিক পনের দিন আগে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে সোনালি সিংহাসনে বসে রানি ব্রেক্সিট পরিকল্পনার পাশাপাশি অপরাধ, স্বাস্থ্য ও পরিবেশসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয়ে সরকারী রূপরেখা তুলে ধরেন। আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট কার্যকরকে সরকারের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললেন রানি এলিজাবেথ।

তবে, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে কোন পরিকল্পিত রূপরেখা ভাষণে না থাকায় ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশয় থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করেন অনেকে।

মানবাধিকারকর্মী রহমত আলী বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবর কী হতে যাচ্চে এবং সেদিন আসলেই কী বাস্তবায়ীত হবে? রানি যে কথা বলেছেন, সেটা দিক নির্দেশনামূলক। কিন্তু মানুষ বুঝতে পারেনি কী হতে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট বশির আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ী কমিউনিটি এখনো অনিশ্চিত যে, ব্রেক্সিট কেমন করে হবে। বর্তমান সরকারের ৪০ জনের কম মেজরিটি নেই। এই অনিশ্চয়তার ফলে ক্ষতি হচ্ছে।

প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন রানির ভাষণে সরকারের পরিকল্পনাগুলো এক ধরণের প্রহসন বলে মন্তব্য করেছেন। সরকারের স্থায়িত্ব যেখানে অনেকটাই ঝুলে রয়েছে, সেক্ষেত্রে এ ধরণের পরিকল্পনা বাস্তব সম্মত নয় বলে মনে করছেন লেবার দলের এই কর্মী।

লেবার পার্টির সদস্য ব্যারিস্টার আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, এখানে সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, বরিসের মেজরিটির অভাব ও সরকারের স্থায়ীত্ব কতটুকু হবে তা আগামী কিছু দিনের মধ্যেই ক্লিয়ার হবে। সুতারাং এই ভাষণের বাস্তবায়ন কিভাবে হবে তা ওয়েস্টমিনিস্টার পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত হবে।

১৯২৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রানির ভাষণে প্রস্তাবিত বিলগুলো ধারাবাহিকভাবে পাস হয়ে আসছে। তবে জনসনের বিলগুলো নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জনসন বিল উত্থাপন করলেও সেগুলো পার্লামেন্টে পাস হওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.