ব্রাভোর ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে সমতায় ফিরল উইন্ডিজ

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দুই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ড ও ডোয়াইন ব্রাভোর নৈপুণ্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর দুই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে ২-১ এ পিছিয়ে যান ক্যারিবীয়রা।
এবার দুই পেস অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্সে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছেন ক্যারিবীয়রা।
গ্রেনাডার সেইন্ট জর্জেসের ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের ২১ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এদিন ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছেন ডোয়াইন ব্রাভো। মাত্র ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন ব্রাভো। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এর চেয়ে সেরা বোলিং ফিগার আর নেই তার।
আর ব্যাট হাতে দুর্দান্ত খেলেছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক পোলার্ড। মাত্র ২৫ বলে ফিফটি হাঁকিয়েছেন এ হার্ডহিটার।

টস জিতে উইন্ডিজদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়ারা।

ব্যাটিংয়ে নেমে পোলার্ডের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ১৬৭ রান করেন স্বাগতিকরা। স্পিনার এইডেন মারক্রামের প্রথম ওভারেই  ২০ রান নেন ক্যারিবীয় ওপেনার লেন্ডস সিমনস।
অপর প্রান্তের ওপেনার এভিন লুইস ৫ বলে ৭ রানে আউট হয়ে যান। ওয়ানডাউনে নেমে ক্রিস গেইল এবারও ব্যর্থ। ৮ বলে ৫ রান যোগ করেই সাজঘরের পথ ধরেন। কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না সিমনসের।
একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে মাত্র ১৯ বলে করেন ৪১ রান। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৫৭ রান তোলেন ক্যারিবীয়রা।
কিন্তু সিমনস ৪৭ রানে আউট হলে ক্যারিবীয়দের রানের চাকা থেমে যায়। পরের চার ওভারে আসে মাত্র ১০ রান। ১২ বলে মাত্র ৭ রান করে আউট হয়ে ফেরেন মারকুটে ব্যাটসম্যান শিমরন হেটমায়ার। হেটমায়ারের পর ব্যর্থতার পরিচয় দেন নিকোলাস পুরান (১৫ বলে ১৬) ও আন্দ্রে রাসেলও (৮ বলে ৯)।
ফলে ১৬ ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১০১ রান। অথচ মাত্র ৬ ওভারেই ৫৭ রান করে ফেলেন তারা।
এর পর ব্যাট হাতে নেমে ঝড় তোলেন কাইরন পোলার্ড। কাগিসো রাবাদার ১৯তম ওভারে ২৫ ও শেষ ওভারে ১৮ রান তোলেন পোলার্ড।
৫ ছক্কা আর ২ বাউন্ডারিতে ২৫ বলে ৫১ জমা করেন পোলার্ড, যা তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি ফিফটি।
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৬৭ রানের লড়াকু পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক পোলার্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন জর্জ লিন্ডে ও তাবরাইজ শামসি। দুজন মিলে ৮ ওভারে খরচ করেন মাত্র ২৯ রান। ৪ ওভারে ৪৮ রান দেন লুঙ্গি এনগিডি।
১৬৮ রানের তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন ক্রিস গেইল। এর পর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকেন প্রোটিয়ারা।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যারিয়ারের অষ্টম টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন কুইন্টন ডি কক। ইনিংসের ১৮তম ওভার পর্যন্ত চলে তার ব্যাট। ৪৩ বলে ৬০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি।
দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান মাত্র ২০, যা আসে এইডেন মারক্রামের ব্যাট থেকে। পেসার কাগিসো রাবাদার ১২ বলে ১৬ রান তৃতীয় সবোর্চ্চ। প্রোটিয়াদের আর কেউ ক্যারিবীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি। দ. আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের এমন ধরাশায়ী হওয়ার নায়ক ব্রাভো। দলের সেরা স্কোরার ডি কককে থামান তিনি। এ ছাড়া টেলএন্ডারের সবাইকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন। তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের বেশি করতে পারেননি সফরকারীরা।
ফলে ২১ রানে জয়লাভ করে  ২-২ সমতায় ফিরল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.