বোর্নমাউথকে উড়িয়ে দিল আর্সেনাল

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলার পথে আরও একবার আক্রমণের ঝড় তুলল আর্সেনাল। বোর্নমাউথকে সহজেই হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে নিজেদের কাজটা সেরে রাখল মিকেল আর্তেতার দল।
প্রিমিয়ার লিগে শনিবার ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। বুকায়ো সাকা দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। শেষ দিকে তৃতীয় গোলটি করেন ডেকলান রাইস।
এই নিয়ে টানা চার ম্যাচ জিতল ২০ বছরের মধ্যে প্রথম লিগ শিরোপা জয়ের স্বপ্নে বিভোর আর্সেনাল; তিনটিতেই জাল অক্ষত রেখে জিতল তারা।
শিরোপা লড়াইয়ে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে আপাতত ৪ পয়েন্টে এগিয়ে গেল আর্সেনাল। ৩৬ ম্যাচে ২৬ জয় ও ৫ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৮৩। দুই ম্যাচ কম খেলে ৭৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে পেপ গুয়ার্দিওলার দল সিটি।
প্রতিপক্ষের প্রথম মিনিটের আক্রমণ সামলে দ্রুত নিজেদের গুছিয়ে নেয় আর্সেনাল। মিনিট পাঁচেক পর থেকে প্রবল চাপ তৈরি করে তারা, সুযোগও আসতে থাকে একের পর এক। তিন মিনিটের মধ্যে বক্সে থেকে পাঁচটি শট নেয় দলটি, সবগুলোয় রক্ষণে প্রতিহত হয়।
চতুর্দশ মিনিটে দুরূহ কোণ থেকে কাই হাভার্টজের নেওয়া শট রুখে দেন বোর্নমাউথ গোলরক্ষক। ২৩তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন টসাস পার্টি; সতীর্থের প্রথম প্রচেষ্টা রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর ফিরতি বল ফাঁকায় পেয়ে উড়িয়ে মারেন ঘানার মিডফিল্ডার।
প্রথম ৩৫ মিনিটে গোলের জন্য ১৪টি শট নিয়ে চারটি লক্ষ্যে রাখা আর্সেনালের হতাশা ৩৮তম মিনিটে আরও বাড়ে। সতীর্থের হেড পাস পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল শট নেন রাইস; কিন্তু বল পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
গানারদের দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে ৪৪তম মিনিটে খোলে ডেডলক। বক্সে কাই হাভার্টজকে গোলরক্ষক ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বুদ্ধিদীপ্ত নিচু স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন সাকা।
চলতি লিগে তরুণ ইংলিশ ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১৬টি, সঙ্গে আটটি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।
প্রথম ভাগে ঘর সামলাতে ব্যস্ত বোর্নমাউথ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। কয়েকটি পাল্টা আক্রমণ করলেও উল্লেখযোগ্য কিছু যদিও করতে পারেনি তারা। উল্টো ৭০তম মিনিটে বক্সে রাইসের ছোট পাস পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় নিখুঁত প্লেসিং শটে জালে পাঠান বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড ট্রোসার্ড।
তিন মিনিট পর আর্সেনালের ডি-বক্সে নানা ঘটনায় উত্তেজনায় ছড়ায়। বোর্নমাউথের একটি প্রচেষ্টা লাগে ক্রসবারে, ফিরতি বল জালে পাঠান এন্টোয়ান সেমেনিও, এর মাঝে সফরকারীদের থেকে পেনাল্টির আবেদনও ওঠে; তবে কোনোকিছুই হয়নি, গোলরক্ষক দাভিদ রায়া ফাউলের শিকার হওয়ায় মেলেনি গোলও।
৮৬তম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো বল বক্সে পেয়ে জোরাল শটে লক্ষ্যে পাঠান গাব্রিয়েল। কিন্তু বাজে অফসাইডের বাঁশি, ভিএআরেও তা বজায় থাকে। আর্সেনালের জিততে অবশ্য তাতে কোনো সমস্যা হয়নি।
আট মিনিট যোগ করা সময়ের সপ্তম মিনিটে দারুণ নৈপুণ্যে জয় নিশ্চিত করেন রাইস। খানিক আগে বদলি নামা গাব্রিয়েল জেসুস দুজনের চ্যালেঞ্জ সামলে বক্সে পাস বাড়ান, আর চোখের পলকে ছুটে গিয়ে বল ধরে সামনে এগিয়ে দুরূহ কোণ থেকে গোলটি করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার রাইস।
দারুণ এই জয়ের আনন্দে এবং সিটির ওপর চাপ বাড়িয়ে মাঠ ছাড়ে আর্তেতার দল। শিরোপাভাগ্য নিজেদের হাতে রাখতে দিনের শেষ ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ানডারার্সের বিপক্ষে জিততেই হবে টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.