বেলকুচিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি টেনে ছিঁড়লেন প্রধান শিক্ষক 

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে বঙ্গবন্ধুর ছবি দেয়াল থেকে টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রান্ধুনীবাড়ির আলিমুদ্দিন ওসমানগণী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হাজী সাইদুল ইসলাম। শিক্ষক সমিতির সদস্যরা ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনাটি গতকাল বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে বেলকুচি পৌরসভার চালা বাসস্টেন্ড এলাকায় অবস্থিত সোহাগপুর নতুনপাড়া আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রুমের বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে।
সেখানে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (মাধ্যমিক) বেলকুচি উপজেলা শাখার এক আলোচনা সভার জহরের নামাজের বিরতির সময় অন্যান্য শিক্ষকের সামনেই বঙ্গবন্ধুর ছবি টেনে ছিঁড়েফেলে দেয় আলিমুদ্দিন ওসমানগণী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হাজী সাইদুল ইসলাম।
তামাই বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ ঘটনাটি এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, সাইদুল সাহেব হয়তো ভুল বসত এ কাজ করেছে।
অভিযুক্ত আলিমুদ্দিন ওসমানগণী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আলোচনা সভার মাঝে নামাজ পড়ার সময় ছবি সামনে রেখে নামাজ পরতে হয়। তাই ছবিটা আমি ছিরে ফেলেছি। আসলে আমি ইচ্ছাকৃতভাবে বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়েফেলা হয়নি।
বেলকুচি উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ধুকুরিয়াবেড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোমারত হোসেন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, নামাজের সময় আমি অন্য সাইটে ছিলাম। পরে জানতেপারি বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
আলহাজ্ব সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদি হাসান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার সময় আমি জানিনা। পরে অন্য শিক্ষকের মাধ্যমে শুনেছি।
সোহাগপুর নতুনপাড়া আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাজ্জাদুল হক রেজা এই বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককেবলেন, বঙ্গবন্ধুর ছবি সাইদুল মাষ্টার ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে চরম অন্যায় ও অপরাধ করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। প্রধান শিক্ষক হয়ে এরকম ন্যাক্কার জনক কাজ করতে পারে তা আমার জানা ছিলনা। আমি তার শাস্তি দাবি করছি। আমি স্কুলের সভাপতি কিন্তু বিদ্যালয়ের মধ্যে আজকের এই মিটিয়ের বিষয়ে কেউ আমাকে অবগত করেনি, এমনকি প্রধান শিক্ষকও এই বিষয়ে আমাকে কিছুই জানাননি।
করোনা কালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাথে পরামর্শ না করে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিটিং করার জন্য বিদ্যালয় ব্যবহার করার অনুমতি কিভাবে পেলো এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যালয়ের সভাপতি রেজা বলেন, এই বিষয়ে আমরা প্রধান শিক্ষকের কাছে জবাব চাইবো। আরো বলেন যেহেতু বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিড়ে ফেলার ঘটনাটা আমার বিদ্যালয়ের মধ্যেই ঘটেছে তাই এর দায় বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এড়াতে পারেনা।
তাই ম্যানেজিং কমিটি অবশ্যই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে। আর যে শিক্ষক বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করে তার আইনানুগভাবে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিছুর রহমান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, কোনো শিক্ষক জদি বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিঁড়ে ফেলে দেয় তার বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.