বেলকুচিতে একই দিনে ৭ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলেন ইউএনও!

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় একই দিনে ০৭ (সাত) স্কুলছাত্রীকে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা করলেন বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।

গতকাল শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এ বাল্যবিবাহ গুলো বন্ধ করা হয়।

প্রথমে বিকাল ৪ ঘটিকায় বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী (১৩), বিকাল ৫ টায় ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের চর মিটুয়ানী গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী (১২), সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় বেলকুচি  পৌরসভার চালা সাতরাস্তা এলাকায় একাদশ শ্রেনীর ছাত্রী (১৭), রাত ৮ টায় ভাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সেন-ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে নবম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪), রাত ৯ ঘটিকায় দৌলতপুর  ইউনিয়নের দৌলতপুর পেস্তক পাড়া গ্রামে ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী (১৩), রাত ১০ ঘটিকায় দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী (১৩) এবং রাত ১১ ঘটিকায় বেলকুচি পৌরসভার চালা অফিসপাড়া এলাকায় দশম শ্রেণীর ছাত্রী (১৫) এর বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুর হতে গভীর রাত পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিবাহ গুলো বন্ধ করা হয়। সাতটি বাল্যবিবাহেই কনের অপ্রাপ্তবয়স্ক।

বাল্যবিবাহ গুলো বন্ধ করে সর্বমোট ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। প্রত্যেক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কনের বাবার নিকট থেকে কনে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা নেয়া হয়।

বাল্যবিবাহ গুলো বন্ধে সহযোগিতা করেন পেশকার হাফিজ উদ্দিন, বেলকুচি থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর  সদস্য বৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, বেলকুচি উপজেলার বর্তমান ইউএনও মোঃ আনিসুর রহমান সিরাজগঞ্জ সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মকালীন সময়ে ইতোপূর্বে আরও দুইবার একদিনে ০৭ টি বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছিলেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি এম মুছা। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.